কলেজ স্ট্রিটেই রয়েছে প্রতিষ্ঠানের আদি ক্যাম্পাস। রাজ্য সরকারের দৌলতে একই বিশ্ববিদ্যালয় নবদ্বীপে পেয়েছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস। এবার তৃতীয় একটি ক্যাম্পাস চেয়ে রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোসের কাছে বিশেষ আবদার করলে সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। এই তৃতীয় ক্যাম্পাসে ভারতচর্চা বা ইন্ডোলজির গবেষণাকেন্দ্র খোলার ইচ্ছাপ্রকাশ করা হয়েছে। এই তৃতীয় ক্যাম্পাস নিউটাউনে চাইছে বিশ্ববিদ্যালয়। দুটি ক্যাম্পাস মিলিয়ে এখন হাজারের কিছু বেশি পড়ুয়া সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করেন।
এদিকে রাজ্যপাল এখনও কোনও আশ্বাস বা প্রতিশ্রুতি দেননি। ধীরে চলো নীতি নেন। ২০১৫ সালে সংস্কৃত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। একটি কমিশন গঠন করে রাজ্য সরকার এটা করে। ওই কমিশনে পুরাণবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়িকে চেয়ারপার্সন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়িকে জানান, নবদ্বীপের সুশীল সমাজ বিদ্যাচর্চা কেন্দ্র চাইছেন। যেখানে প্রাচীন সাহিত্য, পুঁথি, ভাষা, দর্শনচর্চা কবা যাবে। নৃসিংহপ্রসাদ তখন প্রস্তাব দেন, সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়েরই একটি দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নবদ্বীপে তৈরি করা হোক। তারপরই ওই ক্যাম্পাস তৈরি হয়। তবে সেখানে ইন্ডোলজি সেন্টার গড়ে তোলেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বাংলা, সংস্কৃত দুটি বিভাগ আছে। আর সেখানে রয়েছে কিছু টোল।
অন্যদিকে তবে নবদ্বীপের ক্যাম্পাসে এখনও পর্যন্ত ১০০ জন পড়ুয়া হয়নি। কলেজ স্ট্রিটের ক্যাম্পাসে ৮টি বিভাগে মোট হাজারের কিছু কম পড়ুয়া পড়াশোনা করেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের স্মৃতি জড়িয়ে থাকা সংস্কৃত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিশতবর্ষ হবে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। তার জন্য রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য একটি প্রস্তাব চান। সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য রাজকুমার কোঠারি জানান, আচার্যের কাছে জমা দেওয়া ২০০ কোটি টাকার রিপোর্টে নিউটাউনে আরও একটি ক্যাম্পাস করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এখন দেখা যাক।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় কি দুই মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হতে চলেছে? সোনিয়া–মল্লিকার্জুন দেখা করতে পারেন
আর কী জানা যাচ্ছে? এই বিষয়ে নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি বলেন, ‘ইন্ডোলজি সেন্টার নবদ্বীপেই ঠিক হয়েছিল। সেটা কর্তৃপক্ষ এখনও কেন গড়ে তুলতে পারলেন না? আবার তৃতীয় ক্যাম্পাসের কথা বলছেন।’ আর সংস্কৃত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসি রাজকুমার কোঠারির কথায়, ‘পরিকাঠামো এবং স্থায়ী শিক্ষক কিছুই নেই নবদ্বীপে। প্রতিষ্ঠানের ফান্ডে অর্থও নেই। আর নবদ্বীপ ক্যাম্পাস অনেক দূরে। তাই কলকাতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আদি ক্যাম্পাসের কাছে আরও একটি ক্যাম্পাস পেলে ভাল হয়।’