দু’দিন আগেই জয়রাম রমেশ জানান, আগামী মঙ্গলবার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে রাজ্যওয়াড়ি শরিক দলগুলির মধ্যে আসন বন্টন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যাবে। আর আজ, সোমবার সন্ধ্যেবেলা থেকেই শুরু হতে চলেছে কিছু ক্লোজ ডোর মিটিং। এই নিয়ে এখন জাতীয় রাজনীতির অলিন্দ সরগরম রয়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন নয়াদিল্লিতে রয়েছেন। সেখানে নিজের দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা তাঁর। তারই মধ্যে কয়েকজন অন্য দলের নেতা–নেত্রী আলাদা করে দেখা করে বৈঠক করতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
তবে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যস্ত হয়ে না পড়েন সেক্ষেত্রে বিষয়টি ঘটতে পারে। আজ, সোমবার সন্ধ্যেবেলায় নয়াদিল্লির সাউথ আভিনিউতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসতে পারেন নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর আগামীকাল, মঙ্গলবার আসন বন্টন নিয়ে আলোচনা হবে। সুতরাং এমন বৈঠক হলে সেটা অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ। সবার আগে আসন রফা নিয়ে আলোচনা এই পর্বে সেরে নিতে চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। পুরো বিষয়টা যাতে রামমন্দির উদ্বোধনের আগে পরিষ্কার হয়ে যায়, সেটাই তৃণমূল সুপ্রিমোর লক্ষ্য। তাই প্রয়োজনে আলাদা করে সোনিয়া গান্ধী–মল্লিকার্জুন খাড়্গের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন তিনি।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি দু’জনেই কংগ্রেসকে কম আসন ছেড়ে বাকি সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা বোঝাতে চায়। যেমন— পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসকে বহরমপুর এবং মালদা (দক্ষিণ) আসন ছাড়তে রাজি। আবার আম আদমি পার্টি পাঞ্জাবে একটি এবং দিল্লিতে দুটির বেশি আসন ছাড়তে চায়। তার থেকে বেশি যে দাবি করা যাবে না সেটা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। তাতে আখেরে সকলেরই লাভ এটা বোঝাতে চাওয়া হচ্ছে। তবে কংগ্রেস বুঝলে সেটা সম্ভব। মল্লিকার্জুন খাড়্গেদের হিসাব ছিল, হিন্দিবলয়ে অন্তত দুটি রাজ্যে জিতবে কংগ্রেস। তাতে আসন রফায় সুবিধা হবে। হয়েছে উল্টো। এখন দরকষাকষির জায়গায় নেই কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: ভিলেজ পুলিশকে দেওয়া হবে নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম, উদ্যোগ নিল পুলিশ ডিরেক্টরেট
অন্যদিকে আজ সন্ধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলে সূত্রের খবর। জোট বৈঠকে কংগ্রেসের সঙ্গে কেমন করে আসন রফা হবে সেটা নিয়ে মমতা–কেজরির কথা হতে পারে। প্রশ্ন উঠছে, শরিকদের চাপে কংগ্রেস কী অবস্থান নেবে? তৃণমূল কংগ্রেসের এক রাজ্য নেতা বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোট মজবুত রাখতে তৃণমূল কংগ্রেসও চায়। কিন্তু বাস্তবতা মানতে হবে শরিক দল সবাইকে। আঞ্চলিক দলগুলির উপর হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। এরপরও যদি কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় থেকে যায় তাহলেও রাজ্যস্তরে জোটের শক্তি অটুট থাকবে। সুতরাং যা খুশি করা যাবে না।’ কংগ্রেস নেতারা বুঝতে পারছেন চাপ একটা আসবে। তাই পাল্টা যুক্তি দিতে তাঁরা বলবেন, কংগ্রেস তিনটি রাজ্যে হেরেছে ঠিকই। কিন্তু লোকসভার আসনের হিসাবে ২২টি আসন বেড়েছে। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কি হয়।