ওনাকে কচু গাছে গলায় দড়ি দিতে হবে, এবার পার্থকে বিঁধলেন শমীক ভট্টাচার্য

কুণাল ঘোষের মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আর কী বললেন বিজেপির মুখপাত্র?

শমীক ভট্টাচার্য।

তৃণমূলের ঘরোয়া কোন্দলে শাসকদলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। রবিবার বিকেলে দলের রাজ্য সদর দফতরে নাম না করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন তিনি। সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, কুণাল ঘোষ কার লেখা বিবৃতি পাঠ করছেন তা কি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানে না?

এদিন শমীকবাবু বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে কেউ এটা বিশ্বাস করবেন না যে এটা কুণাল ঘোষের স্বগতোক্তি। কুণাল ঘোষ কারও একটা বিবৃতি পালন করছেন। কার সেটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানেন’।

শমীকবাবু বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে ২ জন প্রবীণ নেতাকে কুণাল ঘোষ আক্রমণ করেছেন। একজন বলছেন দলের সিদ্ধান্ত। একজন বলছেন মন্ত্রিসভার ক্যাবিনেটের সিদ্ধান্ত। তাহলে কি SSC দুর্নীতিটা ক্যাবিনেট সংগঠিত করেছে? মানুষ, ছাত্রছাত্রী ও সমাজ বিভ্রান্ত। তাই আমরা এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করছি’।

এর পরই নাম না করে পার্থবাবুকে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ‘তৃণমূলের যা পরিস্থিতি তাতে দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড, দোর্দণ্ডপ্রতাপ মন্ত্রী, তাঁকে তো প্রায় কচু গাছে গলায় দড়ি দিতে হবে। নাম না করে যদি এভাবেই যদি ধারাবাহিকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে এরকমই আক্রমণ চলতে থাকে, তাহলে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন’।

বলে রাখি, রবিবার এক ফেসবুক লাইভে ভারাক্রান্ত কণ্ঠে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তার জবাব আমি দেব। কিন্তু যেদিন দেখব অতিথি শিল্পী বা ভাড়াটে সৈন্য দিয়ে আমাকে ডিফেন্ড করাতে হচ্ছে তার থেকে থুতু ফেলে ডুবে মরা ভালো।’