অভিযুক্তদের বক্তব্য না শুনেই তাদের চাকরি খারিজের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নবম – দশম নিয়োগ দুর্নীতির এক মামলায় বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ফের এই সওয়াল করলেন চাকরি চ্যুতদের আইনজীবী। এর পর সিবিআইকে নোটিশ দিয়ে এব্যাপারে তাদের জবাব তলব করেছে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চ।
এদিন আদালতে চাকরিহারাদের আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, অভিযুক্তদের কোনও বক্তব্য না শুনেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৫০০০ চাকরি খারিজ করেছেন। অভিযুক্তরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাননি। যা ন্যায়ব্যবস্থার মূলগত অধিকারের পরিপন্থী। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এর পর বিচারপতি বসু সিবিআইকে কাদের, কেন চাকরি গিয়েছে তা জানতে চেয়ে নোটিশ দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ এপ্রিল।
মুকুল রোহতগির সওয়ালকে সারবত্তাহীন বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ওরা এই যুক্তি কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও দিয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। যেখানে OMR শিট বলছে যে নম্বরে কারচুপি হয়েছে সেখানে আর কী বলার থাকতে পারে। যাদের চাকরি গিয়েছে তাদের নিয়োগকর্তা SSC আদালতে দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নিয়েছে। এসব করে সময় নষ্ট করার চেষ্টা করছেন চাকরি চ্যুতরা।