সম্প্রতি একটি বই প্রকাশ করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার। সেই বই ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জম্মুতে। ওই বইয়ে দেশের সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করার অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনাকে ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে জম্মুতে। ধৃত প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকের নাম মহম্মদ আসলাম শেখ।
আরও পড়ুন: ‘সংবেদনশীল তথ্য’ প্রকাশের জন্য প্রাক্তন নিরাপত্তা অফিসারদের লাগবে অনুমতি
জানা গিয়েছে, প্রাক্তন পুলিশ সুপার যে বইটি প্রকাশ করেছিলেন তাতে শুধু সংবেদনশীল তথ্যই ছিল না, একটি এফআইআর-এর প্রতিলিপিও ছাপা হয়েছিল। আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে বলা হয়েছে- যদি কোনও ব্যক্তি রাষ্ট্রের সংবেদনশীল কোনও বা নথি প্রকাশ্যে আনেন তাহলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এরজন্য এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা হতে পারে। অথবা দুটিই হতে পারে। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন পুলিশ সুপার যে তথ্য প্রকাশ করেছিলেন সেটি তদন্তাধীন রয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, উধমপুর জেলার জম্মু শহরের গান্ধীনগর এলাকার বাসিন্দা আসলাম। তিনি ১৯৮৬ সালে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। একজন এএসআই হিসেবে তিনি চাকরিতে যোগ দিলেও একের পর এক পদোন্নতির ফলে তিনি পুলিশ সুপার পদমর্যাদায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। গত বছর তিনি অবসর নিয়েছিলেন। এরপর বইটি লিখেছিলেন। কিন্তু, বইটি প্রকাশ হতেই ঘটে বিপত্তি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার গান্ধী নগরের বাসভবন থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, মহম্মদ আসলাম একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার। তিনি যে বইটি প্রকাশ করেছিলেন তার নাম হল ‘ব্রহ্মাস্ত্র।’ এই বইতে কিছু এফআইআরের প্রতিলিপি এবং সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল। আধিকারিকদের মতে, এই তথ্য দেশের শত্রুদের জন্য খুবই উপকারী হতে পারে, যা দেশের পক্ষে ক্ষতিকারক। প্রাক্তন আধিকারিকের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি শুধু বই প্রকাশ করেছেন তাই নয়, একটি সংবাদমাধ্যমকেও সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। আর সেই সাক্ষাৎকারে তিনি একটি বিশেষ ধর্ম নিয়েও মন্তব্য করেছেন। তাঁর এই মন্তব্য, দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশের।