সরকারের পরামর্শেই বিধানসভা স্থগিত করেছেন রাজ্যপাল। শনিবার এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রবীণ আইনজীবী তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, রাজ্যপালের নির্দেশ একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা। যে কোনও সময় তা প্রত্যাহার করতে পারেন তিনি। তবে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগবিরোধী আইন প্রয়োগ নিয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে রাজ্যপালের পদক্ষেপের যোগ রয়েছে বলে মনে করেন না বিকাশবাবু।
এদিন বিকাশবাবু বলেন, রাজ্যপালের এই নির্দেশ জারির এক্তিয়ার রয়েছেন। এই নির্দেশকে একমাত্র আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে। কিন্তু রাজ্যপাল নির্দেশ জারি করার পর তৃণমূলের তরফে যে প্রতিক্রিয়া এসেছে তাতে মনে হচ্ছে সরকারের পরামর্শেই তিনি বিধানসভা স্থগিত করেছেন।
কিন্তু কেন বিধানসভা স্থগিত রাখতে রাজ্যপালকে পরামর্শ দেবে সরকার? বিকাশবাবু বলেন, ‘শাসকদলের আভ্যন্তরীণ ডামাডোলে সরকার পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। বিধানসভা স্থগিত রেখে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন শাসকদল।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগবিরোধী আইন প্রয়োগ নিয়ে স্পিকারের নির্দেশের সঙ্গে রাজ্যপালের নির্দেশের কোনও যোগাযোগ রয়েছে বলে মনে করি না। স্পিকার নিজের এক্তিয়ারের মধ্যেই কাজ করেছেন।’
তাঁর সংযোজন, ‘তবে এভাবে বেশি দিন চলতে পারে না। কারণ সরকারকে বাজেট পাশ করাতে হবে। বিধানসভা স্থগিত থাকলে বাজেট পাশ করানো সম্ভব নয়।’
শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে রাজভবন থেকে জানানো হয়েছে, সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা স্থগিত করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এর ফলে বিধায়করা বিধানসভায় যেতে পারলেও কোনও অধিবেশন বসবে না। কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন না স্পিকার।