ধর্মঘটে আমজনতা ‘অভূতপূর্ব সাড়া’ দিয়েছেন। ট্রেন-বাস নাকি পুরো ফাঁকা। সেই দাবির কিছুক্ষণের মধ্যেই বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে যাদবপুর স্টেশনে অবরোধ শুরু করেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। ‘ফাঁকা’ ট্রেনে অবশ্য তখন ভালোমতোই ভিড় ছিল।
কেন্দ্রের শ্রম আইন, কৃষি আইন-সহ সাত দফা দাবি করে দেশজুড়ে ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘট করছে বাম এবং কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনগুলি। সকালে সেভাবে ধর্মঘটের প্রভাব পড়েনি। কিন্তু বেলা বাড়তেই শুরু হয় ধর্মঘট সমর্থনকারীদের ‘শক্তিপ্রদর্শন’। মধ্যমগ্রামে ট্রেন লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। শ্যামনগর, চুঁচুড়া, ক্যানিং শাখার বেতবেড়িয়া স্টেশন-সহ শিয়ালদহ এবং হাওড়া শাখার বিভিন্ন স্টেশনে বিক্ষোভ দেখান বামকর্মী-সমর্থকরা। বিভিন্ন জায়গায় বাসে ভাঙচুর করা হয়। লেনিন সরণিতেও দোকান বন্ধের জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বারাসতে জোর করে যাত্রীদের বাস থেকে টেনে নামানো হয়। তা নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় ধর্মঘট সমর্থনকারীদের।
যদিও যাদবপুরে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিলের সময় সুজন দাবি করেন, ‘ধর্মঘটে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে। সরকারি বাস চালালেও তাতে লোক নেই।’ তিনি জানান, মানুষ নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রুখে দেবেন। ২০ কোটি মানুষের চাকরি চলে গিয়েছে। ‘মোদীজির শাসন অপশাসনে’ পরিণত হয়েছে দাবি করেন সুজন। কিন্তু বারাসতে জোর করে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁর সাফাই, ‘কোনও অন্য চিত্র নেই। জোর করে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে শুনিনি।’
তার কিছুক্ষণ পরেই সুজনের নেতৃত্বে যাদবপুর স্টেশনে বিক্ষোভ শুরু করেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। লাইনে উঠে পড়েন তাঁরা। তার ফলে ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। কিন্তু যদি মানুষ ‘অভূতপূর্ব সাড়া’ দেন, তাহলে ট্রেন আটকাতে হচ্ছে কেন? জবাবে সুজন জানান, জোর করে ট্রেন চালানো হচ্ছে। মানুষ রাস্তায় বেরোননি। যে ট্রেন আটকানো হয়েছে, সেটিও ফাঁকা। যদিও ট্রেনে উঁকি মেরে স্পষ্টতই দেখা যায়, সুজনের দাবির সঙ্গে সেই ছবি মিলছে না।