২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে ওএমআর শিট নষ্ট মামলায় নতুন করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য অসহযোগিতা করলে সিবিআই তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। হাইকোর্টের এই নির্দেশকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
খোঁজ নেই মানিকের, থানায় GD করলেন আদালত নিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘তৃণমূলের কেউ ধোয়া তুলসীর পাতা নয়। একজন মন্ত্রী জেলে গিয়েছেন আরও একজন মন্ত্রী যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন।’ ওএমআর শিট নষ্ট মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে।’ তার প্রশ্ন, ‘কেন নষ্ট করা হল? কারা নষ্ট করল? কাদের চাকরি দেওয়া হল? যারা চাকরি পেয়েছে তারা কীভাবে পেল? চাকরির জন্য কত টাকা নেওয়া হয়েছিল? এ সমস্ত কিছুই জানা প্রয়োজন রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ওএমআর শিট নষ্ট মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। সেই কারণে পুনরায় নতুন করে সিবিআই তদন্ত নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, স্ক্যান মোডে ওএমআর শিট থাকলে তা জালিয়াতি করা যেত না। কিন্তু ওএমআর শিট সংরক্ষণ করা হয়েছে ডিজিটাইজ মোডে। তথ্য জানার অধিকারে যে সমস্ত পরীক্ষার্থীরা ওএমআর শিট চেয়েছিলেন তাদের ডিজিটাইজ মোডে ওএমআর শিট দেওয়া হয়েছিল। ২০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট ছিল সেক্ষেত্রে ১২ লক্ষ ৯৫ হাজার ওএমআর শিট নষ্ট হয়েছে। কী কারণে নষ্ট হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তার ব্যাখ্যা দিতে পারিনি হাইকোর্টের কাছে। তাই নতুন করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আর হাইকোর্টের নির্দেশকে হাতিয়ার করে সুর চড়িয়েছে বিজেপি।