শুধু আমানতকারী নয়, ব্যাঙ্কের সঙ্গেও প্রতারণা করেছেন শান্তিলাল সুরানা

জেরায় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, প্রায় ২,০০০ কোটি টাকা তছরূপ করেছেন শান্তিলাল। রাতারাতি টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিত্তশালীদের থেকে টাকা নিতেন শান্তিলাল। সেই টাকা দিয়ে কিনতেন জমি বা সম্পত্তি।

অভিযুক্ত শান্তিলাল সুরানা। ফাইল ছবি

চিটফান্ড কাণ্ডে গ্রেফতার শান্তিলাল সুরানাকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলেন ডিরেক্টরেট অফ ইকোনমিক অফেন্সের গোয়েন্দারা। তাঁরা জানতে পেরেছেন কলকাতার বালিগঞ্জের কুইন্স পার্কে অভিজাত এলাকায় বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করেছিলেন শান্তিলাল। শুধু তাই নয়, তার জালিয়াতির আরও একাধিক পদ্ধতির সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা।

গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, বালিগঞ্জের কুইন্স পার্কে শান্তিলালের ১৫,০০০ বর্গফুটের এক বিশাল বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। তার ভিতরে রয়েছে বিলাসের যাবতীয় আয়োজন। ৬ নম্বর কুইন্স পার্কের সেই বাড়িতে রয়েছে যাবতীয় আধুনিক প্রযুক্তি।

জেরায় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, প্রায় ২,০০০ কোটি টাকা তছরূপ করেছেন শান্তিলাল। রাতারাতি টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিত্তশালীদের থেকে টাকা নিতেন শান্তিলাল। সেই টাকা দিয়ে কিনতেন জমি বা সম্পত্তি। এর পর সেই সম্পত্তি বন্ধক রেখে ব্যাঙ্ক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতেন। এভাবে আমানতকারীদের সঙ্গে ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গেও প্রতারণা করেছেন তিনি।

শান্তিলালের গ্রেফতারির খবর প্রকাশ্যে আসতেই কলকাতার বিভিন্ন থানায় জমা পড়েছে আরও অভিযোগ। কারও ৪ কোটি তো কারও ১০ কোটি টাকা আমানত করা রয়েছে শান্তিলালের কাছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙিয়ে শান্তিলালের কাছে টাকা রেখেছিলেন। ওদিকে শান্তিলালের কোম্পানির অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন তার স্ত্রী। তাঁকে খুঁজছে পুলিশ। শান্তিলালকে ৩ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

বলে রাখি, গত শুক্রবার বালিগঞ্জ থেকে শান্তিলাল সুরানাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বিত্তবানদের থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।