বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো নিয়ে বিরোধিতা করে তৃণমূল সরকার যখন বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করাল, তখন পালটা চাল দিল বিজেপিও। পদ্মের ডালি ও হাঁড়ি ভরতি মিষ্টি নিয়ে বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে বিএসএফের সদর দফতরে পৌঁছে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর মতে, ‘বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো হয়েছে। এটা বাংলার জন্য খুশির খবর। অনেকে অপমান করছেন। সেই কারণে আমরা এসেছি ক্ষমা চাইতে।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে নিউ টাউনে বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের হেড কোয়ার্টারে হাজির হন বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ৬০ জনেরও বেশি বিজেপি বিধায়ক যান বিএসএফের দফতরে। তাঁরা বিএসএফ জওয়ানদের হাতে সাজি ভরা পদ্ম ও হাঁড়ি ভরতি মিষ্টি তুলে দেন। বিজেপির তরফে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিএসএফের জওয়ানদের কাছে অনুরোধ করেন, 'সীমান্তে যেন গো-শালা করা হয়। সীমান্ত এলাকায় গোমাতাদের ওপর খুব অত্যাচার করা হয়। সেই অত্যাচার থেকে মুক্ত করতেই গো-শালা তৈরি করা দরকার।'
বিজেপির তরফে এদিনের এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে, 'সীমান্ত এলাকায় কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে বিএসএফ জওয়ানরা লড়াই করেন, দেশকে বাঁচান। অথচ কেউ কেউ তাঁদের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।' এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানান, 'বিএসএফ জওয়ানরা দেশের সুরক্ষায় আত্মবলিদান দেন। বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। বিএসএফ জাতি, ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করছে। অথচ কেউ কেউ বিএসএফকেই অসম্মান করছে।'
যদিও পাল্টা এই বিষয়ে টুইটে সরব হয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। তিনি জানান, ‘শুভেন্দু বিএসএফ ক্যাম্পে গিয়ে সস্তা নাটক করছে। ও আগে বলুক, ২০১২ সালে নরেন্দ্র মোদী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধি নিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন কেন?’