তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনার অভিযোগ এনে মঙ্গলবারই সারগদিঘিতে বোমা ফাটিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তিনি। শুভেন্দুর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই বিধায়ক কিনেছিলেন তিনি।
বুধবার শুভেন্দুবাবু বলেন, আমাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন বিধায়ক কিনে আনো। আমি বিধায়ক কিনে এনেছি। এবার যে মুখ খুলবে তার মুখ আমি খুলে দেব।
পালটা নবগ্রামের বিধায়ক কানাই মণ্ডল বলেন, ‘তিনি যদি টাকা দিয়ে থাকেন তাহলে তাঁকে প্রমাণ করতে হবে। এই মিথ্যাচারের জবাব ওকে দিতে হবে। শুভেন্দু অধিকারী কত টাকার বিনিময়ে বিজেপিতে যুক্ত হয়েছেন সেটা তাঁকে বলতে হবে। অনেক বিধায়ককে না কি তিনি তৃণমূলে নিয়ে এসেছেন। এই টাকা তিনি কোথা থেকে পাচ্ছেন? কোন তোলাবাজদের থেকে তিনি টাকা পাচ্ছেন? এ কি নারদকাণ্ডের টাকা? সারদাকাণ্ডের টাকা? তোলাবাজ যদি কেউ থাকে, গরুচোরের, কয়লার তোলাবাজ। তাহলে তিনি হচ্ছেন একমাত্র শুভেন্দু অধিকারী। তোলাবাজের লাটসাহেব হচ্ছেন উনি।’
এই নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেন, ‘দেশের আইন অনুসারে ওকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত’।
২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগদান করেন নবগ্রামের বিধায়ক কানাই মণ্ডল। মঙ্গলবার সাগরদিঘি উপ নির্বাচনের প্রচারে শুভেন্দুবাবু দাবি করেন, তাঁর হাত থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন কানাই মণ্ডল। সঙ্গে নিয়েছেন একটা স্করপিও গাড়ি। শুভেন্দু অধিকারীর এহেন দাবিতে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি খারিজ করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।