অবশেষে যবনিকা পতন। বিধায়ক পদে ইস্তফা দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এই খবর আগেই পৌঁছে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তাই এদিন কোচবিহারের জনসভা থেকে তিনি বলেন, ‘জোয়ারে আসে ভাটায় চলে যায়।’ শুভেন্দু অধিকারী কয়েকদিন ধরে কলকাতায় ছিলেন। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছিলেন, আজ রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করব। যদি দিদির ফোন আসে তাহলে আমি সবার সামনে কালীঘাটে গিয়ে তৃণমূলেই ফিরে যাব। কিন্তু সকাল হয়ে গেলে আমার আর কিছু করার থাকবে না।
ঠিক তাই হল, সকাল হতেই চিঠি তৈরি করে চলে গেলেন বিধানসভায়। আর জমা দিলেন ইস্তফাপত্র। সূত্রের খবর, আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিল্লি যাওয়ার কথা শুভেন্দু অধিকারীর। তাই আজ বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে দিলেন। বাকি রইল দলের সদস্যপদে ইস্তফা। সেটাও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর দিয়ে দেবেন বলে খবর।
এদিন বিধানসভায় ঢুকে বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন শুভেন্দু। বিধানসভার স্পিকার বেরিয়ে গিয়েছেন তবে তাতে ইস্তফা আটকাবে না। তখন শুভেন্দু বিধানসভার সচিবের কাছেই ইস্তফা দেন। ইস্তফা দিতে যে প্রক্রিয়া চলে সেই প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। দিল্লিতে অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে রাজ্যে ফিরে ইস্তফা দেবেন দলীয় সদস্যপদ থেকে বলে সূত্রের খবর।
তাহলে তৃণমূল কী করবে? এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল ডাক দিয়েছে কাঁথি চলো। আগামী ২৩ ডিসেম্বর সেখানে বড় সভা করা হবে। সেখানে বক্তা হিসাবে থাকবেন ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায় এবং অখিল গিরি। বেলা ২টোর সময় এই সভা হবে কাঁথিতে। পদযাত্রা হবে ক্যানাল পাড় থেকে ডরমেটরি মাঠ পর্যন্ত। কিন্তু তাতে কী ভাঙন ঠেকানো যাবে? উত্তর সময় বলবে। তবে এই ঘটনা তৃণমূলের কফিনে শেষ পেরেক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।