৮ দিনের লড়াই শেষ। অবশেষে মৃত্যু হল ব্যবসায়ীর। মাথার উপরে গাছ ভেঙে পড়ায় তিনি গুরুতর জখম হয়েছিলেন। একটি হাসপাতলে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনাটি সল্টলেকের পূর্বাচলের ৪ নম্বর ক্লাস্টারের বাইরে ঘটেছিল। মৃত ব্যবসায়ীর নাম শাহজাহান শাহজি (৪০)। তিনি একজন মাংস বিক্রেতা। দোকানে থাকার সময় গাছ ভেঙে পড়ে মারাত্মক আঘাত পেয়েছিলেন। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে ব্যবসায়ীর পরিবারে। একই সঙ্গে এই ঘটনার জন্য স্থানীয় পুর প্রতিনিধির গাফিলতিকে দায়ী করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: টালিগঞ্জে উপড়ে পড়ল গাছ, নামল এনডিআরএফ, সতর্ক প্রশাসন
জানা গিয়েছে, শাহজাহান ১০ বছর আগে সেখানে মাংসের দোকান করেছিলেন। প্রতিদিনকার মতো ঘটনার দিনও দোকানে বসে মাংস বিক্রি করছিলেন শাহজাহান। তখনই মৃত কৃষ্ণচূড়া গাছ তাঁর উপরে ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় তাঁর মেরুদন্ড টুকরো টুকরো হয়ে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শাহজাহানের মৃত্যু হয়। প্রসঙ্গত, সল্টলেকের মাটিতে বেশিরভাগই বালি থাকায় সেখানকার মাটি আগলা। ফলে এখানকার মাটি অন্যান্য জায়গার চেয়ে দুর্বল। স্থানীয় পুর প্রতিনিধি মিনু চক্রবর্তী জানান, ওই ক্লাস্টারে পাঁচিল ঘেঁষে ছিল গাছটি। আর পাঁচিলের পাশেই মাংসের দোকান ছিল শাহজাহানের। গাছটি ভেঙে পড়লে একেবারে তাঁর ওপরে পড়ে। গাছটি কাটার জন্য কো-অপারেটিভ বিভাগের অনুমতির প্রয়োজন ছিল। তা ছাড়া স্থানীয়রা গাছ কাটতে বাধা দিচ্ছিল। তার মধ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটলো।
যদিও এ নিয়ে পুরসভার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য, প্রশাসনের গাছাড়া মনোভাবের কারণেই একজনের প্রাণ চলে গিয়েছে। তাদের বক্তব্য, শুধুমাত্র একজনের বাধার কারণে গাছ কাটেনি অথচ এরকম অনেক বাধা পেয়েও একাধিক গাছ কাটা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের গাফিলতি রয়েছে। প্রসঙ্গত বিধাননগরে কতগুলি গাছ বিপজ্জনক অবস্থা রয়েছে? তা নিয়ে সমীক্ষা করা হচ্ছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহায্য নিয়ে বিপজ্জনক গাছগুলিকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। তার মধ্যে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটল। উল্লেখ্য, প্রতিবছরই ঝড় বৃষ্টির সময় সল্টলেকে প্রচুর পরিমাণে গাছপালা ভেঙে পড়ে। সেক্ষেত্রে পথচারী বা বাইক আরোহীদের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। তাছাড়া গাড়ির উপরেও গাছ ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এবার মৃত্যু ঘটল।