হালকা জ্বর, সর্দি, কাশি লেগেই আছে ঘরে ঘরে। এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিতে চাইছেন না অনেকেই। কিন্তু বড়ির থার্মোমিটারটা হয়তো ঠিকঠাক কাজ করছে না। কিংবা করোনা পরিস্থিতিতে একটা পালস অক্সিমিটার বাড়িতে রেখে দিতে চাইছেন কেউ কেউ। আপদে, বিপদে কাজে দেবে। কিন্তু ভাবলেই কি মিলবে এসব? প্রতি পদে পদে এসব কিনতে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছেন আমজনতা। প্রথমত এই দোকান, ওই দোকান ঘুরেও খোঁজ মিলছে না করোনা চিকিৎসার সঙ্গে সম্পর্কিত জিনিসপত্র। অভিযোগ এমনটাই। এর উপর অভিযোগ যে দাম চাওয়া হচ্ছে তা মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। এনিয়ে একেবারে দিশেহারা অবস্থা অনেকেরই।
বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ দিন দশেক আগেও যে পালস অক্সিমিটারের দাম ছিল ১৭০০ টাকা, সেটার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টাকা। সুগার মাপার যন্ত্রের দাম চাওয়া হচ্ছে প্রায় হাজার চারেক টাকা। ভেপার নেওয়ার ৩০০ টাকার যন্ত্রের দাম গিয়ে দাঁড়িয়েছে হাজার টাকায়। থার্মোমিটারের জন্য চাওয়া হচ্ছে ১৫০০ টাকা। সব মিলিয়ে একটাই প্রশ্ন কীভাবে জোগাড় হবে এতগুলো টাকা? বাজারদর নিয়ন্ত্রণের জন্য কোথাও কি কোনও সরকারি ব্যবস্থা নেই? কেন সরকারি নজরদারির অভাবের মাসুল গুণতে হবে সাধারণ মানুষকে? তবে কি কালোবাজারি শুরু হয়ে গেল? অক্সিমিটারের মান নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
কিন্তু অতিমারি পরিস্থিতিতে অবশ্য ব্যবসায়ীদের একাংশ ক্রেতাদের এসব কথা শুনতে নারাজ। তাঁদের দাবি, বাজারে এই ধরনের সামগ্রী বিশেষ পাওয়া যাচ্ছে না। যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে তার দাম আকাশছোঁয়া। যোগান ও চাহিদার মধ্যে বৈযম্যের জেরেই এসব হচ্ছে। ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছ থেকেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। অন্য়দিকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ওযুধও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। তবে, কলকাতা পুলিশের আশ্বাস , বছরভর নজরদারি থাকে। গতবারের মতো এবারও এনিয়ে অভিযান হবে।
সামনের ফার্মেসি থেকে পালস অক্সিমিটার কিনে এনে
স্বস্তি মিলছে না কিছুতেই। একে তো করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে ক্রমশ। ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়েও উঠছে নানা হয়রানির অভিযোগ। এসবের মধ্যে