আর কয়েক মাসের অপেক্ষা। এরপরই কমে যেতে পারে দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ রেল সফরের সময়। অন্তত তিন ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু কীভাবে এটা সম্ভব হবে? সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদে আজিমগঞ্জ-নসিপুর রেল ব্রিজের বাকি অংশের কাজ দ্রুত শুরু হবে। সেই কাজ শেষ হলেই উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্য়ে রেলপথে যোগাযোগ একধাক্কায় কমে যাবে।
মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২০২১ সালে পূর্ব রেলের ডিআরএম আর জিএমের সঙ্গে আমি দেখা করেছিলাম। সেই সময় আমাকে জানানো হয়েছিল ব্রিজের ফাইলটি তাঁরা বন্ধ রেখেছেন। এরপর ডিসেম্বরে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করি। তিনি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
এদিকে বিজেপি বিধায়কের দাবি, ২৪জন কৃষক লিখিতভাবে জানিয়েছেন প্রকল্প শুরু হলে তাঁরা বাধা দেবেন না। আগামী নভেম্বর মাস থেকে অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করার কাজে হাত দেবে রেলদফতর। মার্চ এপ্রিলের মধ্যেই রেল চলাচল শুরু হয়ে যাবে।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই এই পথে রেল প্রকল্প শেষ করার ক্ষেত্রে জট থেকে গিয়েছে। মাত্র ৪৬২ মিটার জমি নিয়ে যাবতীয় জট। এদিকে ২০০৪ সালে ৪৬.৭০ কোটি টাকার এই রেলপ্রকল্পের শিলান্য়াস হয়েছিল। ভাগীরথী নদীর উপর এই সেতুর উপর দিয়েই চলবে ট্রেন। ২০১০ সালে এই পথে রেল চলাচল হওয়ার কথা ছিল। এটি বাস্তবায়িত হলে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনকে আর বর্ধমান দিয়ে ঘুরে যেতে হবে না। শিয়ালদহ ও হাওড়া থেকে ট্রেনে চাপলে বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ, আজিমগঞ্জ হয়ে ট্রেন পৌঁছে যাবে উত্তরবঙ্গে। প্রায় ১১৩ কিমি দূরত্ব কমে যাবে এই রুটে।