এবার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে বিপুল জনসমর্থন পেয়ে বাংলার মসনদে ফের বসার পর সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সোমবার দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেও উঠে এল সেই কথাই। দল সূত্রে খবর, ২০২৪এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে শক্তিবৃদ্ধি করা প্রক্রিয়াকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে তৃণমূল। এর সঙ্গে তৃণমূলের দলীয় সংবিধানেও কিছু রদবদল করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে। এদিনের বৈঠকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে যশবন্ত সিনহা, মুকুল সাংমা, লিয়েন্ডার পেজ, পবন ভার্মার মতো সর্বভারতীয় স্তরের তৃণমূল নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন এদিনের বৈঠকে।
ঠিক কী আলোচনা হয়েছে এদিনের বৈঠকে?
বৈঠক শেষ করে তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন জানিয়েছেন, বর্তমানে বিজেপিকে মোকাবিলা করাই আমাদের লক্ষ্য। ২০২৪ সালে বাংলা ভারতকে পথ দেখাবে। এটা ডেভেলপিং দল। সেকারণেই নতুনভাবে নীতি সাজানো হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, কালীঘাটে আমাদের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হয়েছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকেই আমাদের দলের সর্বভারতীয় তকমা রয়েছে। কিন্তু গত ৫ই জুন আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলে কিছু পরিবর্তন আনার কথা বলেন। সেই সিদ্ধান্ত নিয়েই আলোচনা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে কিছু নিয়মের বদল হবে। ত্রিপুরা, গোয়া, হরিয়ানা, বিহার, মেঘালয় সহ সর্বভারতীয় স্তরে আমাদের দলের বিস্তার ঘটেছে।
তবে কি গোটা দলটাই বদলে যাবে? ডেরেক ও ব্রায়েন জানিয়েছেন, তৃণমূলের বেসিক স্ট্রাকচারে বদল হচ্ছে না। আমাদের কর্মীরা আমাদের গর্ব। কত কর্মী এই দলের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। মমতা দি ২৬ দিন অনশন করেছেন। দলের ডিএনএ বদলাবে না, নীতি বদলাবে।