আজ ২১ জুলাই। তৃণমূল কংগ্রেসের মেগা ইভিন্ট ‘শহিদ দিবস’। তার জেরে উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা এবং কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ—আজ, শুক্রবার বাংলার সব রাস্তা এসে মিলবে মধ্য কলকাতার ধর্মতলায়। ইতিমধ্যেই গ্রাম থেকে শহর—সর্বত্র শহিদ দিবসের প্রস্তুতিতে পোস্টার–ব্যানারে ছয়লাপ। আজকের মঞ্চ থেকেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের বার্তা দেবেন তিনি বলে খবর। আবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে দারুণ সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এখন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকদের উৎসাহ উদ্দীপনা চরমে উঠেছে। তারই মধ্যে ধর্মতলায় সেজে উঠেছে একুশের মঞ্চ। যেখানে দুটি শহিদ বেদী দেখা যাচ্ছে।
প্রত্যেকবার একুশে জুলাই একটি শহিদ বেদী থাকে। এবার দুটি শহিদ বেদী দেখতে পাওয়া যাচ্ছে ধর্মতলায়। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই দুটি শহিদ বেদী তৈরি করা হয়েছে। এটার একটা আলাদা তাৎপর্য আছে। এই পরিস্থিতিতে এখনই সবাই ধর্মতলার পথে এগিয়ে চলেছেন। কারণ এই একুশের মঞ্চ থেকেই ২০২৪ সালের শপথ নেওয়ার কথা বলবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ শহিদ সমাবেশ বলে আপামর জনগণ, কর্মী–সমর্থক এবং নেতাদের বার্তা দেবেন তিনি।
কেন দুটি শহিদ বেদী করা হয়েছে? বামফ্রন্ট সরকারের সময় যুব কংগ্রেসনেত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ডাকেই মহাকরণ অভিযান শুরু হয়। তখন মিছিলের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল তৎকালিন সরকারের পুলিশ। তাতে ১৩টি প্রাণ ঝরে গিয়েছিল। তারপর থেকেই শহিদ দিবস পালন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত থাকেন এই ১৩টি শহিদ পরিবারের সদস্যরা। তাই একুশে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশে একটি শহিদ বেদী থাকে। এখানে মাল্যদান করে তবেই নেতা–নেত্রীরা বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। এই শহিদ বেদী তৈরি হয়েছে বাম আমলে শহিদদের জন্য।
আরও পড়ুন: একুশে জুলাইয়ে ভিড় বাড়ছে মেট্রোয়, টোকেন ব্যবস্থাই চালু রেখেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ
তাহলে দ্বিতীয় বেদীটি কেন? এটা এবারের জন্য তৈরি হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে সব কর্মীরা মারা গিয়েছেন তাঁদের জন্য তৈরি হয়েছে পৃথক আর একটি শহিদ বেদী। বিজেপি–কংগ্রেস–সিপিএমের হাতে যাঁরা খুন হয়েছেন তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতেই এই শহিদ বেদী করা হয়েছে। ফলে এই দিনটিকে শ্রদ্ধা দিবস হিসাবেও পালন করা হবে। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের ২২ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। তাঁদের নিয়েও তৈরি হয়েছে এই পৃথক দ্বিতীয় শহিদ বেদী। মঞ্চ তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। তাই ভিড় বাড়তে শুরু করেছে তাঁকে দেখতে। আর তাঁর কথা শুনতে শহরে এখন জেলাগুলি থেকে কর্মী–সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ এসে পৌঁছেছেন। ভোর থেকেই কর্মীরা ধর্মতলামুখী হতে শুরু করেছেন।