সম্প্রতি দুই শীর্ষনেতার মধ্যে মনোমালিন্য হয়। একজন অপরজনকে আক্রমণ করেন। এই দুই তৃণমূল কংগ্রেস নেতার মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হল না। বরং বন্ধু–প্রীতিতেই মিটল সমাধান। হ্যাঁ, এই দুই নেতা হলেন ফিরহাদ হাকিম এবং মদন মিত্র। মদন মিত্রের অস্ত্র প্রশিক্ষক মন্তব্য থেকেই সম্পর্ক টানাপোড়েনের সূত্রপাত। তবে এবার সেটা মিটল।
ঠিক কী বলেছিলেন মদন মিত্র? অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে কামারহাটির বিধায়ক বলেছিলেন, ‘আমি বলেছি কোথায় কোথায় পৌঁছচ্ছে জানালে আমাদের সুবিধা হয়। আমাদের কর্মীরা ওগুলি নিয়ে নেবে। আমাদের কাছে ওগুলির ট্রেনার ভাল রয়েছে। এক্স আর্মি, কর্ণেল। প্র্যাকটিসটা করে রাখবে। যাতে বিজেপি ব্যবহার করতে না পারে। শেখাবে। দেখাবে। আমাদের কর্মীদের অভিনয় শেখানো হবে। এক্স আর্মি যাদের অনুমোদন রয়েছে তারা শেখাবে। আমাদের কর্মীরা শিখবেন।’
আর ফিরহাদ হাকিম কী বলেছিলেন? এই অস্ত্র প্রশিক্ষণের নিদান দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন ফিরহাদ। তিনি বলেছিলেন, ‘এমন মন্তব্য অনুচিত। উনি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। উনি মন্ত্রিসভার সদস্য নন। দল পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে অবস্থান জানিয়েছে। আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন সেটাই চূড়ান্ত। পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়! মদন মিত্র কে? ট্রেনিং দেওয়ার ক্ষমতা নেই। তিনি পঞ্চায়েত এলাকায় থাকেন না। রাজ্যের মন্ত্রী নন। এসব কথা বলে প্রেস অ্যাট্র্যাকশন করা যায়। ভোট শান্তিপূর্ণ হবে।’
কেমন করে মিটল মনোমালিন্য? কলকাতা পুরসভার মেয়রের বক্তব্যকেই সমর্থন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে মদন মিত্র এগিয়ে এসে সম্পর্ক স্বাভাবিক করলেন। মদন মিত্র এদিন বলেছেন, ‘কোনও অন্তর্দ্বন্দ্বের ব্যাপার নেই। ববি আমার প্রিয় ভাই। ও আমাকে বিরিয়ানি খাওয়াক।’ এই বার্তা দেওয়ায় মেয়র তাঁকে বিরিয়ানি খাওয়াবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দ্রুতই তা খাওয়ানো হবে বলে সূত্রের খবর।