সম্প্রতি রাজ্য কমিটি এবং জেলা কমিটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে একের পর এক বিজেপি নেতা বেরিয়ে আসছেন। দলীয় নেতাদের এই বিদ্রোহে উদ্বিগ্ন বিজেপি নেতৃত্ব। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। পরিস্থিতি সামাল দিতে মরিয়া বিজেপি নেতৃত্ব। সমস্যা সমাধানে আজ সোমবার বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছে। জানা যাচ্ছে, বিজেপির শীর্ষস্তরের নেতা বি এল সন্তোষ থাকতে পারেন এই বৈঠকে। মূলত রাজ্য এবং জেলার নেতাদের অসন্তোষ নিয়েই এই বৈঠকে আলোচনা করা হতে পারে। বিজেপি সূত্রে এমনটাই খবর।
নতুন রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়ার পর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে প্রথম বেরিয়ে আসেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। সেই বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়ে জেলাস্তরেও। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়ার কয়েক জন বিধায়ক ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে এসেছেন নতুন সাংগঠনিক জেলা সভাপতি এবং ইনচার্জের নাম ঘোষণার পর। এছাড়াও, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর জেলার সাংগঠনিক জেলা সভাপতিদের রদবদল করার ঘটনায় শনিবারই বাঁকুড়ার ৫ বিধায়ক বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে এসেছেন। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে এই রদবদলের ফলে দলের সাংগঠনিক কাঠামো আরও মজবুত হবে, তবে তাতে সন্তুষ্ট নন দলের নেতাকর্মীদের একাংশ। উল্টে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হওয়ায় বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামো আরও দুর্বল হবে বলেই মনে করছেন দলেরই একাংশ।
তবে দলের অন্দরেই ক্ষোভ তৈরি হওয়ার ফলে বিজেপি যে মুখ থুবড়ে পড়েছে সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এরকম চলতে থাকলে দলের আরও নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে।
দলের মধ্যে ক্রমেই বেড়ে চলা এই অসন্তোষের ফলে আজ বিজেপির এই বৈঠক বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশের। বৈঠকে রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের পাশাপাশি থাকতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সে ক্ষেত্রে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতে পারেন। তবে সেই বার্তা আদৌও কাজে লাগবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাদের মতে, সেক্ষেত্রে বিজেপির নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলোতে ভোট এগিয়ে আসছে। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না করতে পারলে বিজেপি আরও মুখ থুবড়ে পড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এই অসন্তোষ বিজেপিকে যে ভাবাচ্ছে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই বলেই মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।