পুরনিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার ১৪টি পুরসভার কর্তাদের তলব করতে পারে সিবিআই। এই সপ্তাহেই এই কর্তাদের ডেকে জেরা করতে পারেন তদন্তকারীরা। এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির বাজে ফলের পর্যালোচনা বৈঠকে দিলীপ ঘোষের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হল সুকান্ত মজুমদারকে। এদিকে আজকে ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ডাক দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। রাজ্য পরিবহণ দফতর, রেলের পাশাপাশি সেনার প্রতিনিধিও থাকবেন আজকের বৈঠকে। সকালের বড় বড় পাঁচটি খবরের ওপর একনজরে চোখ বুলিয়ে নিন… (আরও পড়ুন: অবরোধের জেরে শিয়ালদা মেন শাখায় থমকে ট্রেনের চাকা, চরম ভোগান্তি অফিসটাইমে)
পুরনিয়োগ তদন্তে তৎপর সিবিআই
রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় ঘুষ নিয়ে নিয়োগ দেওয়ার মামলায় আরও তৎপর সিবিআই। এই আবহে এই মামলায় পুরকর্তাদের তলব করে জেরা করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই দাবি করছে, শাসকদলের নেতাদের পাশাপাশি পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, এক্সিকিউটিভ অফিসারও এই দুর্নীতিতে জড়িত থাকতে পারেন। এমনকী রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতর ও মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের উচ্চপদস্থ কর্তারাও এই ঘুষকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকতে পারে বলে দাবি সিবিআইয়ের। এই আবহে সবার ভূমিকা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। বর্তমানে ১৪টি পুরসভায় নিয়োগের ওপর বিশেষ ভাবে নজর রাখছেন তদন্তকারীরা। এই সপ্তাহে এই ১৪ পুরসভার কর্তাদের তলব করে জেরা করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে সিবিআই সূত্রে। এদিকে ইডির তদন্তকারীরাও এই মামলায় নজর রেখে চলেছেন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলে তৈরি হবে ঘূর্ণাবর্ত, তার আগে নিম্নচাপের জেরে আজ ভারী বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে
অসমের গেস্টহাউজে দিন কাটছে বিজেপির টিকিটে জয়ী ১১৩ জনের
সাধারণ বিধায়কদের নিয়ে রিসর্ট পলিটিক্স হয়ে থাকে দেশে। বিগত দিনে বিভিন্ন রাজ্যে এমনটা দেখা গিয়েছে। তবে রাজ্যের পঞ্চায়েতের জয়ী প্রার্থীদের শাসকদলের 'হাত থেকে বাঁচাতে' এবার বিজেপি রিসর্ট পলিটিক্সের পথ অনুসরণ করল। জানা গিয়েছে, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের জয়ী বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যদের অসমে নিয়ে গিয়ে 'নিরাপদে' রাখা হয়েছে। ধুবুড়িতে দুই গেস্টহাউজে রাখা হয়েছে এই জয়ী প্রার্থীদের। এছাড়া উত্তরবঙ্গের আরও কয়েকটি জেলার জয়ী প্রার্থীদেরও বিজেপি শাসিত অসমে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে বঙ্গের গেরুয়া শিবির। জানা গিয়েছে, ধুবুড়িতে বর্তমানে বিজেপির জয়ী ১১৩ জন প্রার্থী রয়েছেন। বিজেপির অভিযোগ, জয়ী প্রার্থীদের ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল।
বিজেপির বৈঠকে দিলীপ-সুকান্ত 'মতবিরোধ'
পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর্যালোচনা বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে রাজ্য নেতৃত্বর বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন দিলীপ ঘোষ। দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির বেশ কিছু কড়া কড়া পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে সূত্রের দাবি, দিলীপ ঘোষের এহেন কথাবার্তা কার্যত হজম করে নিতে হয় বর্তমান সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে বৈঠকে মতবিরোধ স্পষ্ট ছিল। জানা গিয়েছে, বৈঠকে রাজ্য নেতৃত্বের ত্রুটি তুলে ধরে দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন করেন, গতবারের জেতা জায়গায় এবার গোহারা কেন?
'রাজ্য সরকার সাহায্যই করেছিল', দাবি প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের
বাগ কমিটির প্রধান প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগ জানিয়েছেন, তদন্ত করার সময় কোনও রাজনৈতিক চাপ ছিল না তাঁর বা তাঁর দলের ওপর। বরং রাজ্য সরকার সবরকম সাহায্য করেছিল। এক সভায় প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, ‘আমার কমিটির উপর রাজ্য সরকারের কোনও চাপ ছিল না। কোনও রাজনৈতিক চাপও দেওয়া হয়নি। রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে কমিটি কাজ করেছে। সেখানে কেউ নাক গলাতে চেষ্টা করেননি।’
ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড নিয়ে বৈঠকের ডাক মুখ্যসচিবের
ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডের জায়গায় মাল্টি-মডেল পরিবহণ হাব গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে আজ একটি বৈঠক হতে চলেছে রাজ্যের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে, সেই বৈঠকে হাজির হতে হবে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে। রাজ্য পরিবহণ দফতর, রাজ্য পরিবহণ নিগম, রাজ্য পূর্ত দফতর, কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড, রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড ছাড়াও সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি থাকবেন আজকের বৈঠকে।