আজ, চতুর্থী। তবে মহালয়ার পর থেকেই মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছে। অনেকেই গাড়ি নিয়ে পাড়ি দিয়েছে শহরের রাজপথ। উৎসবের দিনগুলিতে রাস্তায় যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য তৎপর হয়েছে লালবাজার। কারণ রাস্তায় এখন মদ্যপ চালকদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে বলে খবর। আর সেটা ঠেকাতে এখন থেকেই উদ্যোগী হয়েছে পুলিশ। প্রত্যেক রাতে কতজন মদ্যপ চালকের বিরুদ্ধে আইননত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? এই সংখ্যা জানতে প্রত্যেকটি ট্রাফিক গার্ডের কাছে পরিসংখ্যান তলব করল লালবাজার। দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে রাত ১২টার পর গাড়ি এবং মোটরবাইকে মদ্যপ চালকদের দাপট শুরু হয়। এবার কড়া হাতে তা দমন করা হবে। সমস্ত ট্রাফিক গার্ডকে এই সাপ্তাহিক পরিসংখ্যান দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে প্রত্যেকদিন রাতে মদ্যপ চালকের সংখ্যা বাড়ছে বলে খবর আছে লালবাজারের কাছে। তার উপর উৎসবের মরশুমে বেপরোয়া গাড়ি এবং মোটরবাইক চালালে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়বে। আবার শহরের রাস্তায় মারপিঠ শুরু হতে পারে। সেই হিংসায় ক্ষতি হতে পারে কারও। সবক’টি ট্রাফিক গার্ড সংশ্লিষ্ট এলাকায় ‘অভিযান’ চালায়। বিভিন্ন বড় রাস্তায় ব্রেথ অ্যানালাইজার টেস্ট করে পুলিশ। আর চালক মদ্যপ বলে প্রমাণিত হলে ২০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতায় রোজ গড়ে ৪০–৪৫ জনকে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্য জরিমানা করা হয়। এবার দুর্গাপুজোয় তা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ড নিয়ে পুলিশ বেশি চিন্তিত। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, রবীন্দ্র সরণি, গিরিশ পার্ক, মহাত্মা গান্ধী রোড এবং মধ্য–উত্তর কলকাতার নানা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা নিয়ে জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ড। এই এলাকায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগে মামলা হয়। এটা গোটা শহরের নিরিখে বেশি। দিনে গড়ে ১০টি করে এমন মামলা হয় জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডে। এছাড়া শোভাবাজার মোড়, বি কে পাল অ্যাভিনিউ, রবীন্দ্র সরণি এবং সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ক্রসিংয়ে মদ্যপ চালকদের দাপট বেশি দেখা যায় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় কত বাস নামানো হচ্ছে? সারারাতের হিসাব দিল রাজ্য পরিবহণ দফতর
আর কী তথ্য মিলছে? গড়িয়াহাট মোড় এবং বালিগঞ্জ ফাঁড়িতেও এমন দৃশ্য বেশি দেখা যায়। এই এলাকায় দিনে গড়ে ৪ থেকে ৫টি কেস হয়। বেহালার দিকেও এমন কেস হয়। তবে মামলার সংখ্যা অনেক কম। আবার ইএম বাইপাসের উপর মদ্যপ চালকদের দৌরাত্ম্য বেশি বলে জানা গিয়েছে। গড়িয়া, পূর্ব যাদবপুর, কসবা, তিলজলা, বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ডগুলিকে দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে বাড়তি সতর্কতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নাকা চেকিং বাড়াতেও বলা হয়েছে পুলিশকে।