করোনায় চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না’র মতো ঘটনা যেন না ঘটে। এবার সেই লক্ষ্যে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। এখন দেখা যাচ্ছে রোজই ৮০০ জনের কাছাকাছি মানুষ উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রকাশিত তথ্য সেই কথাই বলছে। দুর্গাপুজোর পর করোনার সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে। আর সংক্রমিত রোগীর ৮০ শতাংশ থাকছে বাড়িতেই। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য সেই কথা বলছে, এমনই মত চিকিৎসক বিবর্তন সাহার।
বিষয়টি ঠিক কেমন? চিকিৎসক বিবর্তন সাহা উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় কোভিড ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকল মনিটরিং কমিটির জয়েন্ট কো–অর্ডিনেটর। জেলায় করোনা রুগির সংখ্যা রোজ বাড়লেও সেফ হোম গুলিতে সেইভাবে করোনা আক্রান্তরা এসে থাকতেও চাইছে না। তাই শহর–গ্রামে হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের করোনা চিকিৎসায় এবার আইএমএ ও আইএপি সদস্যদের যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। চিকিৎসক বিবর্তন সাহা জানান, এই কাজের জন্য জেলার দুই সংগঠনের চিকিৎসকদের একটি টিমকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। এই ট্রেনিংটি করিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। করোনা রোগীর চিকিৎসায় কী প্রোটোকল মেনে চিকিৎসা করতে হবে তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জেলা কোভিড ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকল মনিটরিং কমিটির জয়েন্ট কো–অর্ডিনেটর চিকিৎসক বিবর্তন সাহা জানান, আইএমএ ও আইএপি সদস্যরা হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে ফোনে ও ভিডিও কলের মাধ্যমে। তাঁর দাবি, করোনা পজিটিভ হওয়ার পর পুরসভা থেকে যে রোগীর তালিকা তাদের দেওয়া হবে চিকিৎসার জন্য, তাদেরকেই তারা চিকিৎসা দেবেন। সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত রোজ রোগীকে তারা পরামর্শ দেবেন। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট দেবে পুরসভা। আপাতত কলকাতা পুরসভা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়াতে এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হচ্ছে বলে চিকিৎসক বিবর্তন সাহা জানান।