প্রয়াত তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা তথা মানিকতলার বিধায়ক সাধন পাণ্ডে। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকার পর আজ মুম্বইতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। গত ৩ দিনে সাধনবাবুর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। গতকালই সাধনবাবুর মেয়ে শ্রেয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে লিখেছিলেন ‘ইজ মাই বেস্ট নট এনাফ’ (আমার সর্বোচ্চ চেষ্টাও কি যথেষ্ঠ নয়?)। এই পোস্ট ঘিরে জল্পনা ছড়িয়েছিল। যদিও পরিবারের তরফে সাধনবাবুর শারীরিক অবস্থা নিয়ে কিছু বলা হয়নি তখন।
সাধন পাণ্ডের প্রয়াণে এদিন মমতা শোক প্রকাশ করেন। এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘আমাদের সিনিয়র সহকর্মী, দলের নেতা তথা ক্যাবিনেট মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে আজ সকালে মুম্বইয়ে প্রয়াত হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর সঙ্গে আমার দুর্দান্ত সম্পর্ক ছিল। তাঁর মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে ব্যথিত। তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব, অনুগামীদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।’
পরে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর শোকবার্তা প্রকাশ করা হয়। তাতে লেখা, ‘রাজ্যের প্রবীণ মন্ত্রী সাধন পান্ডের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ মুম্বইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। সাধন পান্ডে দীর্ঘদিন কলকাতার বড়তলা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি মানিকতলা কেন্দ্রের বিধায়ক। বিভিন্ন উন্নয়ন ও সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী সাধনদার সঙ্গে আমার অত্যন্ত হৃদ্য সম্পর্ক ছিল। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি আমার অগ্রজকে হারালাম। আমি সাধন পান্ডের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
গতবছর ১৬ জুলাই ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সাধন পাণ্ডেকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল দীর্ঘদিন। একাধিক কো-মর্বিডিটি থাকার কারণে চিকিৎসকেরা কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাননি। পরে অগস্টে ভেন্টিলেশনে থেকে বের করা হয়েছিল সাধন পাণ্ডেকে। নিউমোনিয়াজনিত কারণেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল সাধন পাণ্ডেকে। সেই সময় তাঁর রক্তচাপ শূন্যে নেমে গিয়েছিল। তখন চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, সাধন পাণ্ডের সিটি থোরাক্স করা হয়। এর আগেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। পরে আরও ভালো চিকিত্সার জন্য তৃণমূল নেতাকে মুম্বইতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই আজ সকালে তিনি প্রয়াত হন।