পুরসভার উদ্যোগে পূর্ব পূঁটিয়ারির একটি কমিউনিটি হলে ভ্য়াকসিন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেই ঘোষণা শুনে রাত দুটো থেকে টিকার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন বাসিন্দারা। ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের জানিয়ে দেন যাদের করোনার টিকা দেওয়া হবে সেই তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে। এদিকে সেই তালিকায় লাইনের কারোর নাম নেই। এরপরই তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয় এলাকায়। ঠিক কী হয়েছিল এদিন?
বাসিন্দাদের অভিযোগ, টিকার আশায় রাত থেকে লাইন দিয়েছিলেন অনেকেই। বয়স্ক মানুষরাও ছিলেন সেই লাইনে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, রাত পৌনে তিনটে থেকে লাইনে দাঁড়াই। তখনই দেখি আমার আগে ৩৮জন রয়েছেন। তারপরেও লাইনে দাঁড়াই। একজন বসে নাম লিখছিলেন। আমিও নাম লেখালাম। এদিকে একজন নিরাপত্তারক্ষী এসে বললেন আগেই ১৭৭জনের নাম লেখা রয়েছে। আমাদের প্রশ্ন, যে মানুষগুলো রাত ১২টার আগে নাম লিখিয়েছিল তাঁরা কোথায়? একজন এসে যদি দশজনের নাম লিখিয়ে যায় তবে এতজন মানুষকে কেন লাইনে দাঁড়াতে হল? আমাদের ভোগান্তির দায় কে নেবে? পুর কোর্ডিনেটর বলেন, অনেক রাত থেকে এসেছেন। নিরাপত্তারক্ষী ভুল তথ্য দিয়েছে। নানা সমস্যা আছে। আমরা সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছি।
আসলে করোনা প্রতিষেধক টিকা নেওয়ার জন্য এই ভোগান্তির ছবি জেলায় জেলায়। চূড়ান্ত হয়রানির মধ্যে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে টিকা পাওয়ার জন্য় হন্যে হয়ে অপেক্ষা করছেন সাধারণ মানুষ। এমনকী বর্তমান পরিস্থিতিতে টিকা নেওয়ার লাইনের গিজগিজে ভিড় থেকেও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলবে কবে? প্রশ্ন আমজনতার।