জেলা আদালতগুলিতে আপদকালীন চিকিৎসা ব্যবস্থা কেমন আছে? তা জানার জন্য সমস্ত জেলার কাছে তথ্য চেয়ে পাঠাল স্বাস্থ্য ভবন। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর হাইকোর্ট এ বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে জানতে চেয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই স্বাস্থ্য ভবনের তরফে শুক্রবার সমস্ত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছে। তাতে এ বিষয়ে তথ্য জানাতে বলেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী।
আরও পড়ুন: চুক্তি শেষ হওয়ার পরেও চলছে ডায়ালিসিস ইউনিট, লাইফলাইন দিল স্বাস্থ্যভবন
সাধারণত হাইকোর্টে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সে ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকে। রাজ্যের কিছু জেলা আদালতে এই ব্যবসা থাকলেও অধিকাংশ জেলা এবং মহাকুমা আদালতে আপৎকালীন চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। সেক্ষেত্রে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা পরিষেবা না থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যায় পড়তে হয় আদালতকে। একাধিক বিচারকের সূত্রে এই বিষয়টি জানতে পেরেছিল কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট। তাতে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা পরিষেবা না থাকার পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স না থাকার বিষয়টিও উঠে আসে। তারপরে আদালতের নির্দেশ মেনে এই সংক্রান্ত তথ্য জোগাড় করতে তৎপর হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কোনওরকম খামতি থাকলে তা শোধরানো হবে। তবে সমস্ত জায়গায় এই পরিষেবা চালু করার জন্য কিছুটা সময় লাগবে। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জেলা আদালতের বিচারকরা জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। এরপর সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে জানতে চায়। পরে হাইকোর্টের তরফে রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করা হয়। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দেশে জানানো হয়েছে, আদালতে কী ধরনের চিকিৎসার বন্দোবস্ত আছে? সংশ্লিষ্ট আদালতে কোনও অ্যাম্বুলেন্স স্থায়ীভাবে থাকছে কিনা তা জানাতে হবে। পাশাপাশি যদি কোনও চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকে তা কেমন? সে বিষয়টিও জানাতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, হাইকোর্টের কাছ থেকে জানতে পারার পরে সামগ্রিক পরিস্থিতির তথ্য জেলাগুলির কাছ থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। হাইকোর্ট চাইলে সে বিষয়টি জানানো হবে। সর্বত্র পরিষেবা চালু করার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সরকারকে জানানো হবে।