এখন চাকরির বাজার খারাপ। কিন্তু জীবন থেমে থাকে না। তাই অনেকেই এখন অ্যাপ নির্ভর খাদ্য সরবরাহ সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। কিন্তু এখানে চাকরির প্রাথমিক শর্ত হল, মোটরবাইক থাকতে হবে চাকরি–প্রার্থীর।
মোটরবাইক কেনার সামর্থ্য অনেকেরই নেই। তাহলে চাকরি করবেন কি করে? এই সমস্যা থেকে সমাধান দিতে রাজ্যের বেকার যুবক–যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার নবান্ন সভাঘরে অনগ্রসর সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠকে তিনি ঘোষণা করেন, কো–অপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে মোটরবাইক কেনার জন্য সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করে দেবে রাজ্য সরকার। যাতে ব্যবসা করে বা চাকরি করে স্বনির্ভর হতে পারেন তাঁরা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২ লক্ষ ছেলে–মেয়েকে ঝণ দেবো। সরকারি ব্যাঙ্ককে দিয়ে হবে না। কো–অপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে মোটরবাইক কেনার জন্য ঋণ দেওয়া হবে তাঁদের। মোটরবাইকের পেছনে থাকবে বাক্স। তাতে শাড়ি নিয়ে বিক্রি করতে পারেন। ফল নিয়ে বিক্রি করতে পারেন। এমনকী যে চাকরির শর্ত মোটরবাইক তা করেও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবেন তাঁরা। এমন ২ লক্ষ ছেলেমেয়েকে মোটরবাইক দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার।’
এদিন নবান্নে তফশিলি, বাগদি, বাউরি, মতুয়া–সহ বেশ কয়েকটি সস্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। মতুয়াদের উন্নয়ন পর্ষদ তৈরির কথা ঘোষণা করেন। উন্নয়ন পর্ষদের জন্য বরাদ্দ করেন ১০ কোটি টাকা। তফশিলি উন্নয়ন পর্ষদের জন্য বরাদ্দ করেন ৫ কোটি টাকা।
এ ছাড়াও তফশিলি, বাগদি, বাউরি–সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উদ্বাস্তু ২৫ হাজার মানুষের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বেকারদের জন্য এই পরিকল্পনা মমতা বন্দ্যোপাধায়ের মাস্টারস্ট্রোক বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।