ঘোষণা আগেই করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার তার দিনক্ষণ জানালেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বললেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি বিধানসভায় আসতে চলেছে CAA বিরোধী প্রস্তাব। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার উত্তরবঙ্গ উড়ে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কেরল ও পঞ্জাবের মতো এরাজ্যেও বিধানসভায় CAA বিরোধী প্রস্তাব আনতে চলেছে সরকার। এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২৭ জানুয়ারি এই প্রস্তাব বিধানসভায় পেশ করা হবে। প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে পাশ করাতে বাম ও কংগ্রেসের সাহায্য চেয়েছেন তিনি।
এদিন পার্থবাবু বাম-কংগ্রেসের উদ্দেশে বলেন, ‘সবাই একজোট হয়ে প্রতিবাদ করুন। কিন্তু সেটা না-করে যারা মমতাকে নিশানা করে বিজেপির সুবিধা করে দিচ্ছেন, তারা পরে বুঝবেন আসলে আপনারা বিজেপিকেই শক্তিশালী করছেন।’ এই প্রস্তাব পাশ কারানো নিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলে দাবি করেছেন পার্থবাবু।
CAA তৈরির পর গত মাসেই তার বিরোধিতায় প্রস্তাব পাশ করে কেরলের বাম সরকার। দিন কয়েক আগে একই রকম প্রস্তাব পাশ করে পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার। এই রাজ্যেও একই রকম প্রস্তাব পাশ করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছিল বাম ও কংগ্রেস।
ওদিকে রাজভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের CAA বিরোধিতার সারবত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেন। ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সভা শেষে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধরনা মঞ্চে যান মমতা। সেখানে বাম ছাত্রদের তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। মমতার মঞ্চ ঘিরে স্লোগান ওঠে, ‘মোদীর দালাল ছি ছি’।
সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর মন্তব্য, ‘অনেক আগে করা উচিত ছিল। এতদিন কি খেলা দেখছিলেন মমতা?’ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘বিলম্বিত বোধোদয়। উপায় না থাকায় এখন CAA বিরোধী প্রস্তাব আনছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিচারিতা প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে।’