রেশন দুর্নীর্তি নিয়ে বিরোধীরা সুর চড়াতেই ব্যবস্থা নিতে তৎপর হল সরকার। খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্নীতিতে যুক্ত থাকায় ইতিমধ্যে ২৩ জন ডিলারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ১২ জন ডিলারের মোটা জরিমানা করেছে সরকার। আর প্রায় ২০০ ডিলারকে মোটা জরিমানা করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে রেশনে খাদ্যশস্য বিলি শুরু হতেই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। জেলায় জেলায় শুরু হয় বিক্ষোভ। গ্রাহকদের অভিযোগ, অধিকাংশ জায়গায় সঠিক মাত্রায় সামগ্রী দিচ্ছেন না রেশন ডিলাররা। একই অভিযোগে সরব হয় বিরোধী বাম ও বিজেপি।
সঙ্গে অভিযোগ ওঠে, তৃণমূল নেতারা হুমকি দিয়ে রেশন ডিলারদের কাছ থেকে চাল-ডাল আদায় করে সেই চাল ত্রাণ হিসাবে বিলি করছেন। যাতে নাম জড়ায় খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকেরও।
রেশনের চাল দলের পতাকার নীচে বিলির ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রেশন থেকে চাল নেওয়া যাবে না। ত্রাণ দিতে হলে তা দিতে হবে নিজের পয়সায় কিনে। সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নিজে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবর ধমক খেয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। খাদ্য সচিবকে সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন দুর্নীতিগ্রস্ত রেশন ডিলারদের শাস্তির খবরে বিরোধী বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, এটা পুরোটাই চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা। ঝিকে মেরে বউকে শিক্ষা দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চুরির দায় চাপানো হয়েছে খাদ্যসচিবের ঘাড়ে। আর তৃণমূলের ছোট খাটো নেতাদের চুরির ভার বইতে হচ্ছে রেশন ডিলারদের। যারা গত ২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রেশনের চাল লুঠ করল তাদের শাস্তি বিধান কবে হবে?