htকরোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউনে মিষ্টির দোকানকে আংশিক ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, দুগ্ধশিল্প ও গোপালকদের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে গোটা দিন নয়, মিষ্টির দোকান খোলা রাখা যাবে শুধু বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত।
সোমবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে বিভিন্ন জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিয়োকনফারেন্সিংয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই মিষ্টির দোকানকে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। বলেন, ‘পাড়ায় যে মিষ্টির দোকানগুলো রয়েছে সেগুলোকে বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৪টে পর্যন্ত খোলা রাখতে বলেছি।’
রাজ্যে লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই বেহাল দশা গোপালকদের। প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের দুধব্যবসায়ীরা ছানা তৈরি করে সরবরাহ করেন কলকাতা ও অন্যান্য শহরের মিষ্টির দোকানগুলিতে। মূলত ট্রেনে করেই চলে ছানার পরিবহণ। প্রথমে ট্রেন বন্ধ হওয়াতেই তাদের মাথায় হাত পড়েছিল। তার পর লকডাউনে মিষ্টির দোকান বন্ধ হওয়ায় দুধ নর্দমায় ফেলে দিতে হচ্ছে তাঁদের।
এই পরিস্থিতিতে মিষ্টির দোকানকে ছাড় দেওয়ার দাবি উঠেছিল। সেকথা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করাও শুরু করে প্রশাসন। কারণ রাজ্যে উৎপাদিত দুধের বড় অংশ মিষ্টির দোকানে গেলেও একাংশ শিশুদের খাদ্য হিসাবে ব্যবহার হয়। চা-সহ ঘরোয়া নানা পদেও দুধের জোগান স্বাভাবিক রাখা দরকারি। অবশেষে বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত দোকান খোলার অনুমতি পেলেন তাঁরা।