এসএসসি দুর্নীতি ঘিরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির জেরে রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে যায়। এরপরই মন্ত্রিসভা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অপসারিত করা হয়। নয়া মন্ত্রিসভায় একাধিক রদবদল আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নবগঠিত মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে মন্ত্রীদের কার্যত কড়া ভাষায় বার্তা দিলেন মমতা। সাফ জানিয়ে দেন ‘পাইলট কার কিম্বা লালবাতি ব্যবহার করতে পারবেন না কোনও মন্ত্রী।’
স্বচ্ছ্ব ভাবমূর্তি বজায় রাখার ওপর মন্ত্রীদের বেশ কয়েকটি বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি সাফ জানিয়েছেন, জেলা থেকে কলকাতা এলেও কিছুতেই লালবাতি গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না মন্ত্রীরা। তিনি জানান, কাজের জায়গা সমস্ত মন্ত্রীদের ভাগ করে দেওয়া হবে। পূর্ণ মন্ত্রীদের সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীদের কাজেরও জায়গা ভাগ করে দেওয়া হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন মন্ত্রীদের পাইলট কার ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশ দিয়েছেন, তার সাপেক্ষে বলেছেন, এই পন্থা না মানলে ব্যাপারটা ভালভাবে নেবে না সরকার। 'এমন রাজনীতি দেখে লজ্জা আসে না?' ধর্ষণ ইস্যুতে বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে তোপ রাহুলের
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় নতুন করে ৮ জন মন্ত্রী জায়গা করে নিয়েছেন। চলতি মাসের শুরুতেই নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। সেখানে জায়গা করে নিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, উদয়ন গুহরা। মন্ত্রিসভায় রয়েছেন প্রদীপ মজুমদার, বীরবাহা হাঁসদা এবং বিপ্লব রায়চৗধুরীরা। এঁদের মধ্যে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ও বিপ্লব রায়চৌধুরী। বাবুল সুপ্রিয় হয়েছেন, তথ্য প্রযুক্তি ও পর্যটন মন্ত্রী। পরিষদীয় মন্ত্রী হয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ে মন্ত্রী হয়েছেন শশী পাঁজা। পরিবহণ দফতর স্নেহাসিস চক্রবর্তীর আওতায়, বিপ্লব রায় চৌধুরী দায়িত্বপ্রাপ্ত মৎস্য প্রতিমন্ত্রী, প্রদীপ মজুমদার হয়েছেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী। উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েন, রত্না দে নাগ, সৌমেন মহাপাত্র, হুমায়ূন কবীর।
(বিস্তারিত আসছে)