বাংলার পর এবার ইংরেজি প্রশ্নও ফাঁস ২০২৪ মাধ্যমিকে। শুক্রবার থেকে রাজ্যে শুরু হয় মাধ্যমিক। প্রথমদিনে পরীক্ষা শুরুর দেড় ঘণ্টার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে বাংলার প্রশ্নপত্রের ছবি। বাংলার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় মালদা থেকে, এরপর ইংরেজিরও প্রশ্নপত্র সেই জেলা থেকেই ফাঁস হয়েছে বলে খবর।
এদিকে, শনিবার মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনে পূর্ব মেদিনীপুরের তিনটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে চাইছি। কেউ কেউ প্রযুক্তির অপব্যবহার করছে।’ উল্লেখ্য, মাধ্যমিকের পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপরও প্রশ্ন ফাঁস ঘিরে উঠছে নানান প্রশ্ন।
মাধ্যমিকের প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় পর্ষদ খবর পেয়েছে একটি চক্রের। সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ বানিয়ে মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্ন ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খোঁজ পেয়েছেন পর্ষদের কর্তারা। ওই ঘটনার বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এদিকে, পরীক্ষা শুরুর প্রথমেই পর পর দুই দিনে এভাবে প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে পর্ষদ সভাপতি বলছেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই কাজ করা হচ্ছে। শুধুমাত্র মালদাতেই কেন প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখব আমরা।’ তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা স্বাভাবিক নয়। এর পিছনে বড় চক্রান্ত রয়েছে।’
এদিকে, শুক্রবার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ২ পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে খবর। তাদের পরীক্ষা ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়েছে। পরে ৬ জনকে চিহ্নিত করা হয় এদিনের প্রশ্নফাঁসের ঘটনায়। তাদের মধ্যে ২ জন মহিলা পরীক্ষার্থী রয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, প্রশ্নে থাকা কিউআর কোড লালকালি দিয়ে কেটে, প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে কোডটি লালকালি দিয়ে কেটেও লাভ হয়নি। পর্ষদ শেষমেশ কোডটি স্ক্যান করে চিহ্নিত করে ফেলে অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীদের। উল্লেখ্য, মাধ্যমিকে যাতে প্রশ্ন ফাঁস না হয়, তার জন্য প্রযুক্তির আশ্রয় নিয়ে পর্ষদ এই প্রশ্নপত্রে থাকা কোড চালু করেছে। যে কোড প্রশ্নপত্রে রয়েছে, সেই কোডটি উত্তরপত্রে লিখতে হবে পরীক্ষার্থীদের। এমনই নিয়ম রয়েছে মাধ্যমিকে।
এদিকে, মাধ্যমিকে প্রশ্ন মুহূর্তে ফাঁস হওয়ার নেপথ্যে একটি সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পর্ষদ জানতে পেরেছ,স সেই গ্রুপে রয়েছে ১৬১ জন সদস্য। এবার এই ১৬১ জন সদস্যের খোঁজ তল্লাশিতে রয়েছে পর্ষদ। রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, ‘পর্ষদকে কালিমালিপ্ত করতেই এই কাজ। এর বলি হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। ’