চূড়ান্ত বর্ষের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত ওপেন-বুক পরীক্ষা (OBE) আপাতত স্থগিত করল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। আগে পয়লা জুলাই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। এখন তা পিছিয়ে ১০ জুলাই করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নিতে অসুবিধা হতে পারে। গত কয়েক সপ্তাহে দিল্লিতে কোভিড -১৯ এর আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭,০০০ ছাড়িয়েছে এবং ২৪০০ জনেরও বেশি মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে।
ডিন (পরীক্ষা) বিনয় গুপ্ত বলেন, নতুন নির্ঘণ্ট ৩ জুলাইয়ের মধ্যে ঘোষণা করা হবে এবং শিক্ষার্থীরা ৪ জুলাই থেকে উন্মুক্ত বই পরীক্ষায় যাতে কোনো অসুবিধে না হয় সেজন্য মক টেস্টে অংশ নিতে পারবে।
মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় অনুদান কমিশনকে ইন্টারমিডিয়েট এবং টার্মিনাল সেমিস্টার পরীক্ষা এবং একাডেমিক ক্যালেন্ডারের জন্য জারি করা নির্দেশিকা পুনর্বিবেচনা করার পরামর্শ দেওয়ার দু'দিন পরে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি বিশ্ব বিদ্যালয়। শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মীদের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে নির্দেশিকাগুলি পুনর্বিবেচনা করতে বলেন মন্ত্রী।
বিশ্ববিদ্যালয় আধিকারিকরা অবশ্য এই পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য রাজেশ ঝা বলেন, ‘স্থগিতের পরিবর্ত হিসেবে অবশ্যই OBE পরীক্ষা বাতিল করতে হবে। এ জাতীয় নির্বিচার সিদ্ধান্তগুলি চূড়ান্ত বছরের শিক্ষার্থীদের মানের ওপর চাপ ফেলে।’
প্রাক্তন একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য পঙ্কজ গর্গ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা নিয়ে একটি বিদ্রূপ করছে। কোভিড -১৯-এর পরিস্থিতি আগামী দশ দিনের মধ্যে উন্নত হবে না বরং আরও খারাপ হবে। এই সিদ্ধান্ত বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের কাছে এটি আরও বেশি চাপের বিষয়।’
ডিন (পরীক্ষা) বিনয় গুপ্ত বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির কথা মাথায় রেখেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। “আমরা পরীক্ষা স্থগিত করলাম কারণ শিক্ষার্থীরা মক টেস্টে অংশ নিতে আরও সময় চেয়েছিল। এই প্রথম অনলাইনে ওপেন-বুক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা এর আগে দু'দিন মক টেস্ট করার পরিকল্পনা করেছিলাম। তবে এখন শিক্ষার্থীদের মক টেস্টের জন্য চার-পাঁচ দিন সময় দেওয়া হবে।