শুভব্রত মুখার্জি: ভারতীয় ক্রিকেট তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসেও অন্যতম কিংবদন্তি ক্রিকেটার অনিল কুম্বলে। জাতীয় দলের জার্সিতে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলকে একার হাতে এনে দিয়েছেন জয়। বল হাতে গড়েছেন একাধিক নজির। আইপিএলে ও তিনি শুরুর দিকে কয়েক মরশুম খেলেছিলেন। তার পরেই অবসর নেন তিনি। এর পর কোচিং স্টাফ হিসেবেও দীর্ঘ দিন কাটিয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে তিনি ব্যস্ত ধারাভাষ্যকার হিসেবে অফিসিয়াল ব্রডকাস্টারদের হয়ে কাজ করতে। ২০০৮ সালে শুরু হয়েছিল আইপিএল। সেই আইপিএলে অনিল কুম্বলে খেলেছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে। তাঁকে নিলামের মধ্যে দিয়ে দলে নিয়েছিল আরসিবি। দলে সেই অন্তর্ভুক্তির পিছনের কাহিনী শুনিয়েছেন অনিল কুম্বলে।
আরও পড়ুন: শেষ বলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ, লড়াই করেও জিতল না গুজরাট, ৪ রানে জিতে অক্সিজেন পেল দিল্লি
প্রথম নিলামে অনিল কুম্বলেকে অংশ নিতে হয়েছিল। কারণ আইকনিক ক্রিকেটারদের যে প্রাথমিক তালিকা বিসিসিআই তৈরি করেছিল, তাতে আরসিবির থেকে আইকনিক ক্রিকেটার হিসেবে রাখা হয়েছিল বর্তমান ভারতীয় দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে। টেস্টে এক ইনিংসে ১০টি উইকেট নেওয়ার নজির গড়া কুম্বলেকে নিলামের মধ্যে দিয়ে দলে নেয় আরসিবি। উল্লেখ্য, টেস্টে এক ইনিংসে দশ উইকেট নেওয়ার নজির রয়েছে জিম লেকার এবং নিউজিল্যান্ডের আজাজ প্যাটেলের। সেই সময়ের আরসিবির মালিক বিজয় মাল্য নিলামের আগে নাকি বলেছিলেন ‘ও আমার বেঙ্গালুরুর ছেলে। ওকে কাউকে ছুঁতে দেব না আমি।’
আরও পড়ুন: শেষ ২ ওভারে দিল্লি হাফসেঞ্চুরি করল, পন্ত-স্টাবস ঝড়ে স্কোর ১৭১ থেকে পৌঁছে গেল ২২৪-এ, হল বড় রেকর্ড
আর এক তারকা অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলে বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে অনিল কুম্বলে বলেন, ‘হ্যাঁ, ওই সময়ে (২০০৮ সালে আইপিএলের নিলামের সময়ে) আমি ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক ছিলাম। আমি জানি না কোন এক অজ্ঞাত কারণে আমি সেই সময়ে আইকনিক ক্রিকেটারদের তালিকায় ছিলাম না। ফলে আমাকে নিলামে নাম নথিভুক্ত করতে হয়েছিল। আমাকে একজন বলেছিল, সেই দিনের নিলামের গল্প। এখন যেভাবে নিলাম হয়, তখন একটু হলেও আলাদা ছিল তা। সেই সময়ে যখন আমার নাম সামনে এসেছিল বিজয় মাল্য নাকি দাঁড়িয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ও আমার বেঙ্গালুরুর ছেলে। ওকে যেন কেউ ছোঁয়ার সাহস না দেখায়। আর এর পরে নাকি কেউ আর আমার জন্য বিড করার সাহস দেখায়নি। আমার যতদূর মনে পড়ে আমাকে সেই সময়ে বেস প্রাইসে কিনে নিয়েছিল আরসিবি। দলের মালিক সেই সময়ে নিলামে দাঁড়িয়ে বলেছিল, ও আমার বেঙ্গালুরুর ছেলে ও বেঙ্গালুরু ছেড়ে অন্য কোথাও যাবে না।’ উল্লেখ্য, আরসিবিতে তিন বছর খেলেছিলেন কুম্বলে। ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে ৪২ ম্যাচ খেলে তিনি নিয়েছিলেন ৪৫টি উইকেট। ইকোনমি রেট ছিল ৬.৫৮।