অনূর্ধ্ব-১৯ কোচবিহার ট্রফিতে সাফল্য পেল বাংলা। চতুর্থ দিনেই ঝাড়খণ্ডকে গুড়িয়ে দিল বঙ্গ ব্রিগেড। চোখের নিমেষে জয় ছিনিয়ে নিল বাংলার দাপুটে ক্রিকেটাররা। সৌজন্যে তরুণ বোলার যুধাজিত গুহর দুর্দান্ত বোলিং। এর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটও কি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খুব কমই দেখা গিয়েছে এই রকম মুহূর্ত। একাই তুলে নিলেন ৭ উইকেট। একেবারে কোমর ভেঙে দিলেন ঝাড়খণ্ডের ব্যাটিং অর্ডারের। তাঁর বোলিংয়ের সামনে রীতিমত অপেশাদার দেখায় বিপক্ষ দলের ব্যাটারদের।
শুক্রবার রাঁচিতে আয়োজিত হয় কোচবিহার ট্রফির অনূর্ধ্ব-১৯ বাংলা বনাম ঝাড়খণ্ডের ম্যাচ। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৬২ রান করে বাংলা। জবাবে ঝাড়খণ্ড করে ২৭৬। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩০০ রানে অলআউট হয়ে যায় গোটা দল। অর্থাৎ ঝাড়খণ্ডের কাছে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮৭। প্রথমদিকে সকলেরই ধারণা ছিল ম্যাচ সহজেই পকেটে তুলে নেবে ঝাড়খণ্ড। কিন্তু সকলের সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করে দিলেন বাংলার তরুণ বোলার যুধাজিত গুহ।
চতুর্থ দিনের খেলায় একাই সাত উইকেট তুলে নিজের দল সহ গোটা রাজ্যের মুখে হাসি ফোটালেন যুধাজিত। মাত্র ২৩ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন ৭টি উইকেট। ৬২ ওভারের মাথায় গোটা ঝাড়খণ্ড দল অলআউট হয়ে যায় ১১৮ রানে। স্বাভাবিকভাবেই জয় হাতছাড়া হওয়াতে হতাশ গোটা ঝাড়খণ্ড শিবির। একইভাবে পরাজয়ের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে আনায় খুশি গোটা বাংলা। এদিন যুধাজিতের বোলিং নজর কেড়েছে সকলের এবং অধিকাংশ ক্রিকেটপ্রেমী মনে করছেন আগামী দিনের নক্ষত্র হতে পারেন এই তরুণ বোলার।
উল্লেখ্য, প্রথম ইনিংসে রীতিমতো তাসের ঘরের মতো গুটিয়ে যায় বাংলার ব্যাটিং অর্ডার। ঝাড়খণ্ডের বোলারদের দাপটে মাথা নত করতে বাধ্য হন বাংলার তরুণ ক্রিকেটাররা। মাত্র ১৬২ রানে অলআউট হয়ে যায় গোটা দল। জবাবে লিড নেওয়ার লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ঝাড়খণ্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৭৬ রানে। এল কৌশিক ছাড়া কেউই তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি বাংলার বোলারদের সামনে। তাঁর সংগ্রহ ১৪৪। তৃতীয় ইনিংসে ১১৪ রানের লিড টপকাতে ব্যাট করতে নামে বাংলা এবং গোটা টিম অলআউট হয়ে যায় ৩০০ রানে। শতরান আসে অনিকেত বিশ্বাসের ব্যাট থেকে। তিনি ২১২ বল খেলে করেন ১১৯ রান। চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ধস নামে ঝাড়খণ্ডের ব্যাটিং অর্ডারে। যুধাজিত গুহর বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না বিপক্ষ দলের ব্যাটাররা। তিনি একাই তুলে নেন ৭টি উইকেট এবং দেন মাত্র ২৩ রান। সব মিলিয়ে ১১৮ রানে শেষ হয়ে যায় ঝাড়খণ্ডের দ্বিতীয় ইনিংস এবং বাংলা ৬৮ রানে ম্যাচ জিতে নেয়।