আইপিএলের আর পাঁচজন বিদেশি ক্রিকেটারের মতো উভয় সংকটে নান্দ্রে বার্গার। নিজের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের ব্যাটার চার-ছয় মারলে ভালো লাগে। তবে প্রতিপক্ষ দলে থাকা নিজের দেশের বোলার মার খেলে খারাপ লাগাই স্বাভাবিক। গত বৃহস্পতিবার দিল্লি বনাম রাজস্থান ম্যাচে রিয়ান পরাগ যে রকম ধ্বংসাত্মক ব্যাটিং করেন, তাতে আপ্লুত রয়্যালসের প্রোটিয়া তারকা নান্দ্রে বার্গার। তবে ইনিংসের শেষ ওভারে পরাগের হাতে যেভাবে লাঞ্ছিত হতে হয় দিল্লির প্রোটিয়া পেসার এনরিখ নরকিয়াকে, তাতে একজন দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে তাঁর খারাপ লাগাই স্বাভাবিক।
উল্লেখ্য, ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে রাজস্থান রয়্যালস ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৫ রান তোলে। রিয়ান পরাগ ৭টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৪৫ বলে ৮৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। এটি রিয়ানের আইপিএল কেরিয়ারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। পরাগ রাজস্থান ইনিংসের শেষ ওভারে এনরিখ নরকিয়ার বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। নরকিয়ার শেষ ওভারে ২৫ রান ওঠে। নরকিয়া ১টি উইকেট নিলেও ৪ ওভারে ৪৮ রান খরচ করেন সেই ম্য়াচে।
পরে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে রাজস্থানের হয়ে বল করতে নামেন নান্দ্রে বার্গার। তিনি ৩ ওভারে ২৯ রান খরচ করে ২টি উইকেট তুলে নেন। দিল্লি ক্যাপিটালস রান তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৭৩ রানে আটকে যায়। রিয়ান-বার্গারের যুগলবন্দিতে রাজস্থান ১২ রানে ম্যাচ জেতে।
ম্যাচের শেষে রিয়ানের ব্যাটিংয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজস্থান রয়্যালসে তাঁর দক্ষিণ আফ্রিকার সতীর্থ নান্দ্রে বার্গার। তাঁর দাবি, রিয়ান দলকে লড়াইয়ের রসদ এনে দেওয়ার ফলেই তাঁর পক্ষে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে মাঠে নামা সম্ভব হয়। নাহলে হয়তো তাঁকে মাঠেই নামাতো না রাজস্থান। যদিও একজন দক্ষিণ আফ্রিকান হয়ে আরেকজন দক্ষিণ আফ্রিকান বোলার নরকিয়ারে মার খেতে দেখে দুঃখ প্রকাশ করেন বার্গার।
রিয়ানের সঙ্গে আলোচনার সময় বার্গার বলেন, ‘এমন দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। তোমার জন্যই আমি বল করতে নামার সুযোগ পাই। নাহলে আমার মাঠে নামার সুযোগ হতো কিনা সন্দেহ। তবে তুমি যেভাবে আমার দেশের একজন বোলারকে পেটালে, তাতে খুশি নই। যদিও আমি আনন্দিত এটা ভেবে যে, তুমি আমার দলে রয়েছ, তাই তোমার বিরুদ্ধে অন্তত বল করতে হবে না। ফের বলছি, শেষ ওভারে তোমার ব্যাটিং ছিল অবিশ্বাস্য।’
নিজের ব্যাটিং নিয়ে রিয়ান বলেন, ‘রাজস্থান রয়্যালসে এটা আমার ষষ্ঠ মরশুম। এমি এখানে ১৭ বছর বয়স থেকে রয়েছি। এটাই আমার সর্বোচ্চ ইনিংস। যেমনটা ভেবেছিলাম, শেষ ওভারে সেভাবেই ব্যাট করতে পারায় খুশি। পরিকল্পনা ঠিকঠাক মেলে ধরতে পারলে ভালো লাগে।’