রঘুবংশীর ২৫ বলের অর্ধশতরানটি কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে একজন আনক্যাপড ক্রিকেটারের সবচেয়ে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। ২০০ স্ট্রাইকরেটে হাফসেঞ্চুরি সহজ বিষয় নয়। শেষ পর্যন্ত তিনি ২৭ বলে ৫৪ রানে আউট হন। ৫টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন রঘুবংশী। যার মধ্যে একটি ছয় রিভার্স র্যাম্প শটে।
1/5 এলেন, দেখালেন, মন জয় করলেন- অংক্রিস রঘুবংশীকে দেখে এমনটা ছাড়া দ্বিতীয় কোনও ভাবনা আসবেই না। অনন্ত দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচের পর। আরসিবির বিরুদ্ধে নাইট জার্সিতে আইপিএলে অভিষেক হয় ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে। যদিও সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে নামার সুযোগ হয়নি। অবশেষে কেকেআর জার্সিতে ব্যাটিংয়ের সুযোগ। পুরোদমে কাজে লাগালেন তরুণ ব্যাটার। মাত্র ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি হাঁকালেন। গড়লেন নজিরও। ছবি- পিটিআই
2/5 ফিল সল্ট যখন আউট হন, তখন দলের রান ৬০। সেই সময়ে তিনে ব্যাট করতে নামেন রঘুবংশী। সেই সময়ে ক্রিজে ছিলেন সুনীল নারিন। এবং তিনি রীতিমতো বিধ্বংসী ছিলেন তখন। নারিনের উল্টোদিকে ব্যাট করতে নেমে এতটুকু ঘাবড়াননি ১৮ বছরের তরুণ। বরং নারিনের বিধবংসী মেজাজে প্রভাবিত হয়ে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন অংক্রিস। ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। সেই সঙ্গে গড়ে ফেলেন অনন্য নজির। ছবি- এএনআই
3/5 অংক্রিস রঘুবংশীর ২৫ বলের অর্ধশতরানটি কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে একজন আনক্যাপড ক্রিকেটারের সবচেয়ে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। ২০০ স্ট্রাইকরেটে হাফসেঞ্চুরি সহজ বিষয় নয়। শেষ পর্যন্ত তিনি ২৭ বলে ৫৪ রানে আউট হন। ৫টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন রঘুবংশী। যার মধ্যে একটি ছয় রিভার্স র্যাম্প শটে। ছবি: এএফপি
4/5 এই ইনিংসের পর অংক্রিস বলেছেন, ‘অভিষেক নায়ারের তত্ত্বাবধানে আমি যে ভাবে বিগত কয়েক বছর ধরে অনুশীলন করেছি, সেটা আজ আমার কাজে দিয়েছে। বেশি কিছু ভাবছিলাম না ব্যাটিংয়ের সময়। পরিস্থিতি অনুযায়ী কেমন, কী খেলতে হবে, সেইভাবেই আমায় অনুশীলন করাতেন উনি। সেই ভাবেই আমি ম্যাচেও খেলেছি।’ রিভার্স সুইপে ছয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস আমি যদি ঠিকঠাক ভাবে কোনও কিছুর অনুশীলন করি, তাহলে ম্যাচে লাভ হবেই হবে। এক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে। সব কিছুই একেবারে যেমনটা চেয়েছিলাম, তেমনই হয়েছে।’ ছবি: পিটিআই
5/5 মাত্র ১১ বছরে গুরুগ্রাম ছেড়ে মুম্বই পাড়ি দিয়েছিলেন ক্রিকেটের স্কিলে শান দেওয়ার জন্য। ২০২২-এ অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে যশ ধুলের নেতৃত্বে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেই বিশ্বকাপে নজর কেড়েছিলেন তারকা। ক্রীড়াবিদদের পরিবার থেকেই উঠে এসেছেন অংক্রিস। তাঁর মা মালেকা রঘুবংশী বাস্কেটবলে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাঁর বাবা অবনীশ দেশের হয়ে টেনিস খেলেছেন। তাঁর ভাই কৃষান রঘুবংশীও তাঁর বাবার মতো টেনিস খেলেন। এ ছাড়া তাঁর কাকা ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে মুম্বইয়ের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। ছবি: পিটিআই