লখনউ সুপার জায়ান্টস এই বছর আইপিএলের শুরুটা হতাশাজনক ভাবে করলেও, ধীরে ধীরে তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তবে কারণে ঘুরে দাঁড়ানোর পর ফের মুখ থুবড়েও পড়তে হয়েছে। তবে তারা হাল না ছেড়ে আবারও লড়াইয়ে ফিরেছে। মোটেও উপর এখনও পর্যন্ত লখনউ ভালো জায়গায় রয়েছে। এবার আইপিএলে প্রথম ম্যাচে হার দিয়ে শুরু করেছিল তারা। এর পর কেএল রাহুল ব্রিগেড জয়ের হ্যাটট্রিক করে। ফের দু'ম্যাচে হারের পর, আবার পরপর দু'ম্যাচে জয় পায়। মঙ্গলবার চেন্নাই সুপার কিংসকে ফিরতি লিগের ম্যাচেও হারায় তারা। এখনও পর্যন্ত ৮ ম্যাচ খেলে লখনউ পাঁচটিতে জিতেছে। তিনটিতে হেরেছে।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের প্রথম ৮ ম্য়াচের ফল:
১) নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়পুরে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ২০ রানে পরাজিত হয়।
২) লখনউয়ে ঘরের মাঠে পঞ্জাব কিংসকে ৩৩ রানে হারায়।
৩) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ঘরের মাঠে তাদের ২৮ রানে হারায়।
৪) ঘরের মাঠে গুজরাট টাইটান্সকে হারায় ৩৩ রানে।
৫) লখনউতে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে ৬ উইকেটে হেরে বসে থাকে।
৬) ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে হারে ৮ উইকেটে।
৭) ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসরে ৮ উইকেটে হারায়।
৮) চেন্নাইয়ে গিয়ে সিএসকে-কে ফের ৬ উইকেটে হারায় তারা।
আরও পড়ুন: হার্দিককে নিয়ে ক্ষোভ, নাকি বিদেশি নির্বাচনে ভুল- কোন কারণে এখনও নড়বড়ে পারফরম্যান্স MI-এর
প্রথম ৮ ম্যাচে লখনউয়ের সেরা তিন ব্যাটার:
১) কেএল রাহুল- ৮ ম্যাচে ৩০২ রান করেছেন।
২) নিকোলাস পুরান- ৮ ম্যাচে ২৮০ রান করেছেন।
৩) মার্কাস স্টোইনিস- ৮ ম্যাচে ২৫৪ রান করেছেন।
৩) কুইন্টন ডি'কক- ৮ ম্যাচে ২২৮ রান করেছেন।
প্রথম ৮ ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের সেরা পাঁচ বোলার:
১) যশ ঠাকুর- ৭ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছেন।
২) মহসিন খান- ৫ ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়েছেন।
৩) মায়াঙ্ক যাদব- ৩ ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়েছেন।
৪) নবীন-উল-হক- ৫ ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়েছেন।
৫) ক্রুনাল পান্ডিয়া- ৮ ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: খাতায় কলমে এখনও ছিটকে যায়নি কোহলির দল, কোন অঙ্কে উঠতে পারে প্লে-অফে
প্রথম ৮ ম্যাচের পর লখনউয়ের দুঃশ্চিন্তার কারণ:
১) কেএল রাহুল, নিকোলাস পুরান বাদ দিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটাররা খুব বেশি ধারাবাহিত নন। তবে মঙ্গলবার মার্কাস স্টোইনিস দুরন্ত সেঞ্চুরি করে, সিএসকে-র বিরুদ্ধে জয় এনে দিয়েছে লখউকে। তবে তাঁরও ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে। দেবদূত পাড্ডিকালের মতো নির্ভরযোগ্য ব্যাটারও হতাশ করে চলেছেন।
২) কুইন্টন ডি'কক, কেএল রাহুলের মতো ওপেনার থাকলেও, শুরুটা কিন্তু খুবই ধীর গতির হচ্ছে লখনউয়ের। যেটা দলের উপর চাপ বাড়াচ্ছে। যে কারণে লখনউ কিন্তু অন্যান্য দলের মতো কখনও-ই খুব বড় রান করতে পারেনি। তবে তারা মঙ্গলবার ২১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে সিএসকে-কে হারিয়েছে। কিন্তু ২-৩টি ম্যাচ বাদ দিলে ১৬০-১৭০-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে লখনউয়ের স্কোর।
আরও পড়ুন: করণকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে সিঙ্গল নিতে রাজি হননি কার্তিক, এক রানে হারের পর প্রশ্নে রণনীতি
৩) বোলারদের পারফরম্যান্সও আহমরি নয়। মায়াঙ্ক যাদব বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি চোট পেয়ে ছিটকে যেতেই, লখনউয়ের বোলিং অত্যন্ত সাধারণ মানের মনে হচ্ছে।
৪) ক্রুনাল পান্ডিয়া, দীপক হুডা, আয়ুষ বাদোনির মতো ভারতের নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডাররা কিন্তু ছন্দে নেই। যে কারণে পার্থক্য তৈরি হয়ে যাচ্ছে দলে।
প্রথম ৮ ম্যাচে লখনউয়ের অক্সিজেন:
১) কেএল রাহুল রান পাচ্ছেন। এটা স্বস্তির বিষয়। নিকোলাস পুরানও ফিনিশারের ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করছেন। তিনি কিন্তু হাল ছাড়ছেন না। মঙ্গলবার সিএসকে-র বিরুদ্ধে স্টোইনিসের দুরন্ত সেঞ্চুরি, সম্ভবত তাঁর ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত।
২) দল হিসেবে দুরন্ত লড়াই করছে লখনউ। ভালো কিছু করার তাগিদ রয়েছে তাদের মধ্যে। যে কারণে কিন্তু তারা পাঁচ ম্যাচ জিতে ফেলেছে ইতিমধ্যে।
৩) মায়াঙ্ক এবার লখনউয়ের কাছে বড় প্রাপ্তি। তিনি দলে থাকলে, লখনউয়ের বোলিং এক লাফে শক্তিশালী হয়ে যাচ্ছে। তবে মায়াঙ্কের চোটটাই ঝামেলায় ফেলেছে এলএসজি-কে।