ধরমশালায় ভারত বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যে খেলা শেষ টেস্টে দলের খারাপ অবস্থা দেখে বল হাতে তুলে নিয়েছিলেন ব্রিটিশ ক্যাপ্টেন বেন স্টোকস। প্রথম বলেই রোহিত শর্মাকে বোল্ড করে তিনি সকলকে চমকে দেন। হাঁটুর চোট কাটিয়ে প্রায় নয় মাস পর বোলিং করেছিলেন বেন স্টোকস। ১৬২ বলে ১০৩ রান করে আউট হন রোহিত শর্মা। ধরমশালা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে প্রথম সেশনে উইকেটের জন্য মরিয়া ইংল্যান্ডের বোলাররা। দ্বিতীয় সেশনে বোলিংয়ে আসেন স্টোকস। প্রথম বলেই সাফল্য এনে দেন। পরের ওভারেই ভারতের আরেকটি উইকেট পড়ে যায়। শুভমন গিলকে প্যাভিলিয়নে পাঠান জেমস অ্যান্ডারসন।
আরও পড়ুন… শুরু হয়ে গেল দলবদলের খেলা! মোহনবাগান ছেড়ে চেন্নাইয়িন এফসির পথে কিয়ান নাসিরি- রিপোর্ট
ভারতের দুই সেট ব্যাটসম্যানই ২ ওভারের মধ্যে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ধরমশালা টেস্টে মধ্যাহ্ন বিরতির পর খেলা শুরুর আগে ওয়ার্ম আপ করছিলেন বেন স্টোকস। তবে এই সময়ে বোলিং শুরু করেন জেমস অ্যান্ডারসন। গিল তার ওভারে মারেন ২টি চার। এই ওভারে ১১ রান দেন। পরের ওভারটি নিয়ে আসেন বেন স্টোকস। প্রথম বলেই ইংল্যান্ডকে সাফল্য এনে দেন তিনি। ৬২তম ওভারে ২৭৫ রানের স্কোরে ভারতের দ্বিতীয় উইকেট পড়ে যায়।
কীভাবে বোল্ড হলেন রোহিত শর্মা?
রোহিত শর্মাকে ভালো লেন্থ বল করেন বেন স্টোকস। পিচে আঘাত করার পর বল বেরিয়ে যায় কোণে। বলটি খেলার জন্য রোহিত শর্মা ব্যাট নিয়ে এগিয়ে যান, তবে সেই সময়ে পাটা খুব একটা এগোয়নি। সেই সময়ে ব্যাটের কানা মিস করার পর বল লেগে যায় অফ স্টাম্পে। সঞ্জয় মাঞ্জরেকর, যিনি তখন ধারাভাষ্য করছিলেন, এটিকে একটি ম্যাজিক বল বলেছিলেন।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর স্টোকসের বাঁ হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়। গত বছর নিউজিল্যান্ড সফরে হাঁটুতে সমস্যা হয়েছিল তার। এর পরে, বেন স্টোকস আইপিএল ২০২৩-এ চেন্নাই সুপার কিংসের (CSK) কিছু ম্যাচ খেলেন এবং বেঞ্চে বসে থাকেন। এর পরে, তিনি ২০২৩ সালের জুনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বোলিং করেছিলেন। এরপর ৯ মাস বোলিং করেননি। ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে নেটে বোলিং করছিলেন তিনি। রাঁচিতে চতুর্থ টেস্টের আগে বোলিং নিয়ে কথা বলেছিলেন বেন স্টোকস। যদিও তখন বোলিং করেননি তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত ধরমশালায় বোলিং করেছেন বেন স্টোকস।