চওড়া কপাল ট্র্যাভিস হেডের। ম্যাচের প্রথম বলেই আউট হয়েও পুনরায় ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে যান তিনি। যদিও পড়ে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলকে শক্ত ভিতে বসিয়ে দিতে পারেননি অজি তারকা। শিখর ধাওয়ানের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের জন্য ভুলের বড়সড় মাশুল দিতে হয়নি পঞ্জাব কিংসকে।
মঙ্গলবার মুল্লানপুরে আইপিএল ২০২৪-এর ২৩তম লিগ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে পঞ্জাব কিংস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। টস জিতে সানরাইজার্সকে শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান পঞ্জাব দলনায়ক শিখর ধাওয়ান। অভিষেক শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে হায়দরাবাদের হয়ে ওপেন করতে নামেন ট্র্যাভিস হেড। পঞ্জাবের হয়ে নতুন বলে দৌড় শুরু করেন কাগিসো রাবাদা।
ম্যাচের প্রথম বলেই আউট হয়ে বসেন হেড। রাবাদার বল হেডের ব্যাটে লেগে উইকেটকিপার জিতেশ শর্মার দস্তানায় জমা পড়ে। যদিও আম্পায়ার এক্ষেত্রে আউট দেননি ট্র্যাভিসকে। জিতেশকে আত্মবিশ্বাসী দেখালেও পঞ্জাব শেষমেশ রিভিউয়ের আবেদন জানায়নি। তারা আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়।
আল্ট্রা-এজ প্রযুক্তিতে দেখা যায় যে, বল ট্র্যাভিস হেডের ব্যাটে লেগে জমা পড়ে জিতেশের দস্তানায়। অর্থাৎ, পঞ্জাব কিংস যদি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাত, তাহলে শূন্য রানে আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হতো হেডকে।
জীবনদান পেয়ে হেড স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ব্যাট চালিয়ে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন। কাগিসো রাবাদার প্রথম ওভারে ১টি চার মারেন তিনি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে রাবাদা পুনরায় বল করতে এলে পরপর ৩টি চার মারেন হেড। যদিও চতুর্থ ওভারে আর্শদীপ সিংয়ের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় হেডকে।
৩.২ ওভারে আর্শদীপের ফুল-লেনথ বলে ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা করেন হেড। যদিও বল ঠিক মতো ব্যাটে কানেক্ট হয়নি। বল হাওয়ায় ভেসে যায়। মিড-অফে শিখর ধাওয়ান দৌড়ে বলের পিছনে ধাওয়া করেন। তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ক্যাচ লুফে নেন। পিছন দিকে দৌড়ে এভাবে ক্যাচ ধরা কতটা কঠিন, সেটা ক্রিকেটের সাধারণ জ্ঞান থাকা লোকেও বোঝেন।
ধাওয়ানের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের জন্যই ব্যক্তিগত ২১ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় হেডকে। ১৫ বলের ইনিংসে তিনি ৪টি চার মারেন। আর্শদীপ সেই ওভারেই তুলে নেন আরও একটি উইকেট। ৩.৪ ওভারে আর্শদীপের বলে উইকেটকিপার জিতেশের দস্তানায় ধরা পড়েন সদ্য ক্রিজে আসা এডেন মার্করাম। ২ বল খেলেও খাতা খুলতে পারেননি প্রোটিয়া তারকা।