আইপিএলে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে দুরন্ত জয় পেয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। অধিনায়ক হিসেবে দলকে জেতাতে সক্ষম হয়েছেন লোকেশ রাহুল। এখনও পর্যন্ত ৭টি ম্যাচের মধ্যে ৪টিতে জিতেছে লখনউ। কলকাতার বিরুদ্ধে হারের ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে লখনউ শিবির। এরই মধ্যে মহেন্দ্র সিং ধোনির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন লোকেশ রাহুল। সুপার জায়ান্টসদের বিপক্ষেও মাহির ব্যাট থেকে এসেছে ৯ বলে ২৮ রানের দুরন্ত ইনিংস। যেখানে এবারের আইপিএলে লখনউ দলের বোলিং লাইন আপ অন্যতম সেরা বলা হচ্ছে। ১৬০-১৭০ রান করেও তাঁরা সহজে ডিফেন্ড করে নিতে পারে, সেই ডেথ বোলিংয়ের বিপক্ষেই মহেন্দ্র সিং ধোনি এসে পরপর ছয়, চার হাঁকিয়ে দিয়েছেন। যা দেখে রাহুল বলছেন, মহেন্দ্র সিং ধোনি মাঠে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় পরিবেশ। বোলারদের গ্রাস করে ধোনির আতঙ্ক।
রাহুলের এই কথা বলার অবশ্য কারণ রয়েছে। এবারের আইপিএলে অন্যান্য দলের সেরা সেরা তারকা যারা এই মূহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেট দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তাঁদের পারফরমেন্সের তুলনায় মহেন্দ্র সিং ধোনির পারফরমেন্স যে মোটেই কম নয়। এবারের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত খুব কম বল খেললেও, তাতেই নিজের ছাপ রেখে গেছেন মাহি। মুম্বইয়ের বিপক্ষে মেরেছিলেন হার্দিককে পরপর তিনটি ছয়। লখনউয়ের বিপক্ষে যশ ঠাকুর এবং মোহসিন খানের ওভারেও তুললেন বড় রান। দলকে খারাপ জায়গা থেকে অনেকটাই লড়াইয়ের পরিস্থিতিতে নিয়ে যান মাহি। যদিও সেই ম্যাচ ১ ওভার বাকি থাকতেই জিতে নেয় লোকেশ রাহুলের লখনউ সুপার জায়ান্টস, সৌজন্যে দুই ওপেনারের অর্ধশতরান।
আরও পড়ুন-ইস্টবেঙ্গলকে অপমান করা মানে মা'কে অপমান করা,মন্ত্রীর প্রতিবাদের পর বললেন সৌরভ
ম্যাচ শেষের পর লোকেশ রাহুল বলছেন, ‘ ১৬০-১৬৫র মধ্যে চেন্নাইকে আটকে দেব ভেবেছিলাম। কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনি ব্যাট করতে নামার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের তরুণ বোলাররা চাপে পড়ে যায়। প্রত্যেক দলের এবং বোলারদের বিপক্ষেই ধোনির এই আতঙ্ক কাজ করে, এটা নতুন কিছু নয়। আমাদের দলে অনেক তরুণ ক্রিকেটাররা রয়েছে। দর্শকের এত আওয়াজ এমএসডিকে নিয়ে, তাই তাঁদের চাপে পড়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। মাহি অসাধারণ ক্রিকেটার, বিশেষ করে শেষ দিকে যে ওভারবাউন্ডারি গুলো মেরেছে। তবে আমরা জানতাম একটু বেশি রান হয়ে গেলেও, ম্যাচ জেতা সম্ভব’।
আরও পড়ুনৃ-IPL 2024-'তোমার প্রিয় ক্রিকেটার বুমরাহ'?প্রশ্ন ইশানের,ভক্তের উত্তরে বুমরাহ বললেন-গুড চয়েস, ভিডিয়ো
এপ্রিলের ২৩ তারিখ দুই দল ফের মুখোমুখি হতে চলেছে। এই ম্যাচ ছিল লখনউতে। পরের বার ম্যাচ হবে চেন্নাইতে। ফলে ধোনিদের হোম গ্রাউন্ডে ফুল প্যাকড সিএসকে সমর্থকদের সামনে রাহুলের তরুণ ব্রিগেডের কাজটা যে আরও কঠিন হবে তা বলাই যায়। ম্যাচে ৮২ রান করেন লোকেশ রাহুল। অপর অধিনায়ক রুতুরাজ বড় রান পাননি। ম্যাচের শেষে তিনি বলেন আর ১০-১৫ রান বোর্ডে থাকলে লড়াই জমত। জাদেজা অর্ধশতরান করলেও রাহানে একটু বেশি বল খেলেন। এদিকে রচিন রবীন্দ্র এই ম্যাচও রান পাননি। শ্রীলঙ্কার পাথিরানা একটি সহজ ক্যাচ মিস করেন। পরের ম্যাচের আগে দ্রুত এই বিষয়গুলো শুধরে নিতে মরিয়া সিএসকে টিম ম্যানেজমেন্ট।