শুভব্রত মুখার্জি: বর্তমান সময়ে আফগানিস্তানের অন্যতম সেরা স্পিনার নুর আহমেদ। সারা বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ লিগে তিনি নিয়মিত খেলেন। আইপিএলেও শেষ কয়েক মরশুমে তিনি খেলেছেন গুজরাট টাইটান্স দলের হয়ে। সম্প্রতি আইএলটি-২০ লিগ অর্থাৎ এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের অধীনে থাকা ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ লিগেও খেলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে এই লিগ থেকেই এবার ১২ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হল নুর আহমেদকে। তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। ছিল চুক্তিভঙ্গের গুরুতর অভিযোগ। আর সেই অভিযোগের কারণেই তাঁকে আগামী ১২ মাসের জন্য এই টু্র্নামেন্টে থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪-৫ বছর আগে রোহিতের একটা ফোনই কি বদলে দিয়েছিল যশস্বীর ক্যারিয়ার? খোলসা করলেন তরুণ তারকার শৈশবের কোচ
প্রসঙ্গত, শারজা ওয়ারিয়র্স দলের হয়ে আইএলটি-২০-তে খেলেছেন তিনি। এবার সেই ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফেই তাঁকে আরও এক বছরের চুক্তি বাড়ানোর বিষয়ে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি রিটেনশন নোটিশে সই করতে অস্বীকার করে দেন। আর এই ঘটনার কারণেই শারজা ওয়ারিয়র্সের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গের দায়ে পড়েছেন তিনি। আর এই গুরুতর কারণেই তাঁকে ১২ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নুরকে প্রথম মরশুমে অর্থাৎ আইএলটি-২০ ২০২৩-এ খেলতে চুক্তিবদ্ধ করেছিল শারজা ওয়ারিয়র্স। এর পর তাঁকে আরও এক বছরের চুক্তি বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি তা মানেননি। রিটেনশন নোটিশেও সই করেননি। বরং তিনি এসএ২০ লিগ অর্থাৎ দক্ষিণ আফ্রিকার টি-২০ লিগে খেলার সিদ্ধান্ত নেন। আর এর পরেই তাঁর উপর নেমে এল শাস্তির খাঁড়া।
আরও পড়ুন: ঘুর্ণি পিচ বানিয়ে ইংল্যান্ডকে ধরাশায়ী- নিন্দুকদের এহেন সমালোচনা ফুৎকারে ওড়ালেন রোহিত
ঘটনাচক্রে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া টি-২০ লিগে তিনি ডারবান সুপার জায়ান্টস দলের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন। আইএলটি-২০'র তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগের বারের নিয়ম কানুন সব এক রেখেই ১৯ বছর বয়সী নুরকে এক বছরের চুক্তি বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হলে, তিনি তা মানেননি। আর এর পরেই এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে লিগ কমিটির দ্বারস্থ হয় শারজা ওয়ারিয়র্স। লিগ কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন ডেভিড হোয়াইট। এছাড়াও রয়েছেন আজম এবং জায়েদ আব্বাস। তাঁরা দুই পক্ষের সঙ্গেই আলাদা আলাদা করে কথা বলেন। সবার বক্তব্য শোনেন। এর পর তাঁরা তাঁদের তদন্ত রিপোর্ট জমা করেন। যেখানে প্রাথমিক ভাবে নুরকে ২০ মাস নিষিদ্ধ করার কথা তারা সুপারিশ করেন।
তবে পরবর্তীতে তাঁরা এই শাস্তি আট মাস কমানোর সিদ্ধান্ত নেন। কারণ প্রথম ক্ষেত্রে চুক্তি স্বাক্ষর করার সময়ে নুর নাবালক ছিলেন। সে কথা মাথাতে রেখেই তাঁর শাস্তি কমানো হয়। উল্লেখ্য, প্রথম মরশুমে শারজা ওয়ারিয়র্সের হয়ে সাতটি ম্যাচ খেলেছেন নুর। দিয়েছেন ১৪৮ রান। নিয়েছেন চারটি উইকেট। ইকোনমি রেট ৭.০৪। গড় ৩৭। শারজা ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলা এই নিয়ে দ্বিতীয় ক্রিকেটার এক ধরনের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লেন। এর আগে নবীন উল হককেও একই কারণে ২০ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।