চলতি রঞ্জি ট্রফিতে ক্রমাগত রান করে জাতীয় নির্বাচকদের উপরে চাপ বাড়াচ্ছেন চেতেশ্বর পূজারা। তবে টিম ইন্ডিয়ায় কামব্যাকের লড়াই ক্রমশ কঠিন হচ্ছে অজিঙ্কা রাহানের সামনে। রঞ্জির প্রথম তিনটি ইনিংসের দিকে তাকালে এটা বলতেই হয় যে, একেবারেই পরিচিত ছন্দে নেই অজিঙ্কা।
চলতি রঞ্জি ট্রফিতে এই নিয়ে ২টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন রাহানে। অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে গত ম্যাচের ১টি ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে চূড়ান্ত ব্যর্থ হন তিনি। এক বলেই শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয় মুম্বই দলনায়ককে। এবার কেরলের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ফের গোল্ডেন ডাকে মাঠ ছাড়েন অজিঙ্কা। অর্থাৎ, টানা ২টি ইনিংসে তিনি ১ বলেই আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন।
আশা করা হয়েছিল দ্বিতীয় ইনিংসে বড় রানের ইনিংস খেলতে পারেন রাহানে। তবে অনুরাগীদের ফের হতাশ করেন তিনি। কেরলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৬ রান করে আউট হন রাহানে। ৬৬ বলের নড়বড়ে ইনিংসে একটিও বাউন্ডারি মারতে পারেননি তিনি। সুতরাং, রঞ্জির ৩টি ইনিংসে অজিঙ্কার ব্যক্তিগত সংগ্রহ যথাক্রমে ০, ০ ও ১৬ রান।
কেরলের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৫১ রান করা শিবম দুবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি ৫ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। দলের সেরা দুই তারকা ব্যর্থ হলেও মুম্বইকে লড়াই থেকে ছিটকে যেতে দেননি জয় বিস্তা, ভূপেন লালওয়ানিরা। বিস্তা দ্বিতীয় ইনিংসে ১০০ বলে ৭৩ রান করেন। মারেন ৩টি চার ও ১টি ছক্কা। ভূপেন ১৭৯ বলে ৮৮ রান করেন। তিনি ১২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া মুম্বইয়ের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে প্রসাদ পাওয়ার ৩৫, শামস মুলানি ৩০ ও মোহিত আবস্তি ৩২ রান করেন। কেরলের হয়ে ৮২ রানে ৪টি উইকেট নেন শ্রেয়স গোপাল। তিনি প্রথম ইনিংসে ২৮ রানে ৪টি উইকেট নিয়েছিলেন। সুতরাং, দুই ইনিংস মিলিয়ে ম্য়াচে মোট ৮টি উইকেট সংগ্রহ করেন গোপাল। এছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে ৮০ রানে ৪টি উইকেট নেন জলজ সাক্সেনা।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৭ রানের লিড নেওয়া মুম্বই দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় ৩১৯ রানে। জয়ের জন্য ৩২৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামে কেরল। তারা তৃতীয় দিনের শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে কোনও উইকেট না হারিয়ে ২৪ রান তুলেছে। অর্থাৎ, জয়ের জন্য শেষ দিনে কেরলের দরকার আরও ৩০৩ রান।