ব্যাট হাতে তো দুরন্ত ছন্দে রয়েছেনই নিকোলাস পুরান। তবে মঙ্গলবার, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ম্যাচে ফিল্ডিংয়েও নজর কাড়লেন তিনি। সেটা তাঁর বহুদূর থেকে সরাসরি থ্রো-তে উইকেট ভাঙাই হোক বা দুরন্ত ক্যাচ ধরা হোক।
আরও পড়ুন: IPL-এর পরের দিকে তো থাকবেনই না, SRH-এর বিরুদ্ধে ম্যাচেও খেলবেন না মুস্তাফিজুর
আরসিবি-র ইনিংসের ১৮তম ওভারে ক্রিজে যখন মায়াঙ্ক ডাগর এবং মহিপাল লোমরোর ব্যাট করছিলেন। যশ ঠাকুরের সেই ওভারের পঞ্চম বলে স্ট্রাইকে ছিলেন লোমরোর। তিনি বলটি ওয়াইড লং-অফের দিকে তুলে মেরেই ২ রানের জন্য মরিয়া হয়ে ছোটেন। ক্য়াচ উঠলেও, সেখানে ধরার মতো কোনও প্লেয়ার মজুত ছিল না। তবে এক রান নেওয়ার পরে, দ্বিতীয় রানের জন্য ফেরার সময়েই লোমরোর পিছলে পডে যান। এদিকে সেই বলটি ধরে দূর থেকেই সরাসরি থ্রো করে উইকেট ভেঙে দেন পুরান। দুরন্ত থ্রো ছিল। আউট হয়ে যান লোমরোর।
সেই সময়ে লোমরের বেশ পেটাচ্ছিলেন তিনি ক্রিজে থাকলে হয়তো, ম্যাচে ফল অন্য রকম কিছু হলেও হতে পারত। তবে সঠিক সময়ে লোমরোরকে সাজঘরে ফিরিয়ে লখনউকে স্বস্তি দেন পুরান।
এখানেই শেষ নয়। ইনিংসের শেষ ওভারে শেষ উইকেটে তখন ব্যাট করছিলেন মহম্মদ সিরাজ এবং রিস টপলি। ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে রবি বিষ্ণোইকে দু'টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন সিরাজ। জিততে হলে শেষ ওভারে দরকার ছিল ৩০ রান। বল করতে এসেছিলেন নবীন-উল-হক। প্রথম তিন বলে ১ রান হয়। স্বাভাবিক ভাবেই ম্যাচ ততক্ষণে পকেটে পুড়ে ফেলেছে লখনউ।
১৯.৪ ওভারে বড় শট খেলতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনের সামনে ক্যাচ তোলেন সিরাজ। পুরান লং-অন থেকে ছুটে গিয়ে ডাইভ দিয়ে ক্যাচটি ধরে গড়িয়ে যান। কিন্তু ক্যাচ হাতছাড়া করেননি তিনি। বা বাউন্ডারি লাইনও স্পর্শ করেননি। নিঃসন্দেহে দুরন্ত একটি ক্যাচ। আর এতে ২ বল বাকি থাকতেই ১৫৩ রানে অল আউট হয়ে যান আরসিবি। ২৮ রানে ম্যাচটি জিতে যায় লখনউ।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতেও পুরান দুরন্ত ছন্দে ছিলেন। ৫টি ছক্কা এবং ১টি চারের হাত ধরে পুরান ২১ বলে অপরাজিত ৪০ রান করেন। আর পুরানের এই ইনিংসের হাত ধরেই লখনউ সুপার জায়ান্টস প্রথমে ব্যাট করে ১৮১ রানের লড়াকু স্কোরে পৌঁছতে সক্ষম হয়।
আগের ম্যাচেও পুরান পঞ্জাব কিংলের বিরুদ্ধে ২১ বলে ৪২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন। সেই ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে, মরশুমের প্রথম জয় এনে দিয়েছিলেন পুরান। নিজেদের প্রথম ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারলেও, পুরান ৪১ বলে ৬৪ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলেছিলেন। মোদ্দা কথা, এই মুহূর্তে লখনউয়ের অন্যতম ত্রাতা হয়ে উঠেছেন ক্যারিবিয়ান তারকা।