একেই নিজেদের শেষ ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে হেরে বড় ধাক্কা খেয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। তার উপর আবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচে খেলতে পারবেন না সিএসকে-র বাঁ-হাতি স্পিডস্টার মুস্তাফিজুর রহমান।
জানা গিয়েছে, মুস্তাফিজুর বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছেন। এবং হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শুক্রবারের (৫ এপ্রিল) প্যাট কামিন্সের দলের বিরুদ্ধে ম্যাচটি মিস করতে পারেন মুস্তাফিজুর।
২৮ বছর বয়সী তারকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ইউএসএ-তে অনুষ্ঠিত আইসিসি পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য তার ভিসার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় ফিরে গিয়েছেন। আশা করা হচ্ছিল যে, তিনি কাজ সেরে চেন্নাই সুপার কিংসের পরবর্তী ম্যাচের আগেই দলে যোগ দেবেন। তবে ইএসপিএনক্রিকইনফো দাবি করেছে, আগামী শুক্রবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচে তিনি সম্ভবত খেলতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: মায়াঙ্কের গতিতে কেঁপে গেল RCB-র টপ অর্ডার, ঘরের মাঠে টানা ২ ম্যাচ হার কোহলিদের, LSG জিতল ২৮ রানে
বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আবার দাবি করা হয়েছে, বায়োমেট্রিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে যেতে হয়েছে দেশে। পুরো কাজটা সারতে বেশ কয়েক দিন সময় লেগে যাবে। মুস্তাফিজুরের বায়োমেট্রিক পরীক্ষা হবে ৪ এপ্রিল। চেন্নাই-হায়দরাবাদ ম্যাচ ৫ এপ্রিল। যে কারণে সেই ম্যাচে নামতে পারবেন না বাংলাদেশি তারকা বোলার।
হায়দরাবাদের পর চেন্নাইয়ের ম্যাচ রয়েছে ৮ এপ্রিল, হোম ম্যাচে প্রতিপক্ষ কলকাতা নাইট রাইডার্স। যদি কোনও কারণে ভিসা প্রক্রিয়ায় আরও কিছুটা দেরি হয়ে যায়, তাহলে হয়তো এই ম্যাচটাও হাতছাড়া হতে পারে বাংলাদেশের তারকা পেসারের। ৫ ও ৮ এপ্রিলের পর, চেন্নাই সুপার কিংস পরের ম্যাচ খেলবে ১৪ এপ্রিল। সেই ম্যাচে অবশ্য মুস্তাফিজুরের না থাকার কোনও আশঙ্কা নেই।
আরও পড়ুন: RCB-কে হারিয়ে লিগ টেবলে বড় লাফ LSG-র, বেশ চাপে এখন কোহলিরা
এদিকে আইপিএলের জন্য মুস্তাফিজুরকে বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড মোট ৫১ দিনের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে। এর অর্থ হল, ১২ মে পর্যন্ত তাঁকে পাবে চেন্নাই সুপার কিংস। বাকি ম্যাচগুলোতে তিনি খেলতে পারবেন না। কারণ এর পর তাঁকে দেশে ফিরতে হবে জিম্বাবোয়ে সিরিজের জন্য।
এবারের আইপিএলের শুরু থেকেই সিএসকে-র একাদশে নিয়মিত এই বাঁ-হাতি পেসার। ৩ ম্যাচ খেলে ৭ উইকেট নিয়ে ফেলেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। এখনও পর্যন্ত আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনিই। আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে ২৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরাও হয়েছিলেন মুস্তাফিজুর। তাঁকে না পাওয়া গেলে, তা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের কাছে নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা হবে।
মুস্তাফিজুর যদি না খেলতে পারেন, তবে এই ম্যাচে একাদশে সুযোগ পেতে পারেন মুকেশ চৌধুরী। তিনি যদিও ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর চোটের কারণে এখনও কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেননি। তবে দারুণ ফর্মে থাকা মুস্তাফিজুরকেই একাদশে পেতে চাইবে চেন্নাই। কারণ, তাঁর সঙ্গে ডেথ ওভারে মাথিশা পাথিরানার জুটি জমে উঠেছে।