ইংল্যান্ডের ব্যাজবলের জবাব দিতে ‘ঋষ-বল’ বানাতে চেয়েছিলেন রোহিত! রহস্য ফাঁস করলেন পন্ত

Rohit Sharma's Rish-ball: আসলে ম্যাককালামের ডাকনামটি বল ‘ব্যাজ’ এবং তার সঙ্গে ‘বল’ শব্দটি যুক্ত করে তৈরি করা হয়েছে ব্যাজবল। ভারতের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্ত এই বিষয়টি নিয়ে একটি মজার কথা বলেছিলেন। তিনি জানান, ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা নাকি তাঁকে বলেছেন যে আমরা ‘ঋষ-বল’ শুরু করব।

রোহিত শর্মা ও ঋষভ পন্ত (ছবি-PTI)

Rishabh Pant revealed Rohit Sharma secret plan: ইংল্যান্ড দল বেশ কিছুদিন ধরেই আক্রমণাত্মক টেস্ট ক্রিকেট খেলছে, যাকে ক্রিকেটের ভাষায় বলা হচ্ছে ব্যাজবল ক্রিকেট। ব্যাজবল এই নামটি ইংল্যান্ড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ডাকনামের সঙ্গে মিল রেখে করা হয়েছে। আসলে ম্যাককালামের ডাকনামটি বল ‘ব্যাজ’ এবং তার সঙ্গে ‘বল’ শব্দটি যুক্ত করে তৈরি করা হয়েছে ব্যাজবল। ভারতের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্ত এই বিষয়টি নিয়ে একটি মজার কথা বলেছিলেন। তিনি জানান, ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা নাকি তাঁকে বলেছেন যে আমরা ‘ঋষ-বল’ শুরু করব। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে একটি ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার পর থেকে পন্ত ভারতীয় দলের বাইরে রয়েছেন। আইপিএল ২০২৪ প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করতে দেখা যেতে পারে তাঁকে।

স্টার স্পোর্টসের শো ‘বিলিভ ’-এ ঋষভ পন্ত বলেন, ‘অ্যাশেজ (ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ) দেখতে দারুণ লাগছিল। ইংল্যান্ড একটা বিশেষ পদ্ধতিতে খেলটা শুরু করেছিল। আমি তো ওভাবেই খেলি আর সেটায় আমি অভ্যস্ত। রোহিত ভাই সেই সময়ে বলেছিলেন আমরাও ‘ঋষ-বল’ বানাব। তিনি বলেছিলেন যে তুমি তো এটা খেলছ, দেখবে বাকিরাও এই স্টাইলে বাধ্য হয়েই খেলবে।’ এই সাক্ষাৎকারে ঋষভ পন্ত বলেন, গাড়ি দুর্ঘটনার পর তাঁর একটা সময়ে মনে হয়েছিল যে পৃথিবীতে তাঁর সময় শেষ হয়ে গিয়েছে।

এরপরে ঋষভ পন্ত আরও বলেন, ‘সেই প্রথম আমার মনে হয়েছিল যে এই পৃথিবীতে আমার সময় শেষ হয়ে গেছে। আমি খুব ভাগ্যবান, কারণ এই দুর্ঘটনাটি আরও বড় হতে পারত। দুর্ঘটনার পর আমি বেঁচে ছিলাম। কিছু একটা আমাকে বাঁচিয়েছিল। ডাক্তার বলেছেন যে সুস্থ হতে ১৬ থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে। আমি ভাগ্যবান যে আমি দ্বিতীয় জীবন পেয়েছি। সকলে তো আমার মতো দ্বিতীয় জীবন পায় না।’ ঋষভ পন্ত যখন দিল্লি থেকে তাঁর নিজের শহর রুরকির দিকে যাচ্ছিলেন তখন তাঁর গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ও অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান ভারতীয় দলের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।

ভারতীয় দলের এই তরুণ ক্রিকেটার জানিয়েছেন যে, দুর্ঘটনা সত্ত্বেও তিনি গাড়ি চালানো ছাড়বেন না। তিনি জানান, ‘এখন আমাকে সকলেই বলছেন যে তুমি একেবারে গাড়ি চালাবে না। কিন্তু কেউ আমাকে ভয় দেখাতে পারবে না। আমি এখনও গাড়ি চালাব, কারণ আমি গাড়ি চালাতে ভালোবাসি। যদি কোনও একটা দুর্ঘটনা ঘটে, তার মানে এই নয় যে তুমি সেই জিনিসগুলি আর কখনও করবেন না।’