গ্রুপ লিগের ৭ ম্যাচে ২টি শতরান ও ২টি অর্ধশতরান করেছেন বাবা ইন্দ্রজিৎ। নক-আউটেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেন তিনি। সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে ফের ব্যক্তিগত অর্ধশতারনের গণ্ডি টপকে গেলেন তামিলনাড়ুর মিডল অর্ডার ব্যাটার।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ফের একবার শতরান কার্যত পাকা দেখাচ্ছিল ইন্দ্রজিৎয়ের। তবে নিজের লড়াকু ইনিংসকে শেষমেশ তিন অঙ্কে টেনে নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। আউট হয়ে বসেন ব্যক্তিগত ৮০ রানের মাথায়। ১৩৯ বলের অনবদ্য ইনিংসে ইন্দ্রজিৎ, ৬টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। এই নিয়ে রঞ্জির শেষ তিনটি ইনিংসে তিনি ব্যক্তিগত ৫০ রানের গণ্ডি টপকে যান।
এর আগে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে লিগ ম্যাচে ইন্দ্রজিৎ দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৪৮ ও ৯৮ রানে আউট হন। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচে নিশ্চিত ডাবল সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় তাঁর। ইন্দ্রজিৎ সেই ম্যাচে ১৮৭ রানে আউট হন। এবার সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ইনিংসে শতরানের ইঙ্গিত দিয়েও থেমে যায় ইন্দ্রজিৎয়ের ব্যাট।
ইন্দ্রজিৎ ছাড়াও সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে হাফ-সেঞ্চুরি করেন ভূপতি কুমার ও ক্যাপ্টেন সাই কিশোর। ভূপতি ১১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩৪ বলে ৬৫ রান করে আউট হন। সাই কিশোর ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৪৪ বলে ৬০ রান করে মাঠ ছাড়েন।
নারায়ণ জগদীশান করেন ৬৭ বলে ৩৭ রান। তিনি ৫টি চার মারেন। প্রদোষ রঞ্জন পাল ১৩ রান করে আউট হন। সৌরাষ্ট্রের ১৮৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে তামিলনাড়ু দ্বিতীয় দিনের শেষে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৩০০ রান তুলে ফেলে। অর্থাৎ, দ্বিতীয় দিনের শেষেই সাই কিশোররা লিড নিয়ে নেন ১১৭ রানে।
সৌরাষ্ট্রের পার্থ ভাট এখনও পর্যন্ত ২টি উইকেট নিয়েছে। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন জয়দেব উনাদকাট, চিরাগ জানি, ধর্মেন্দ্রসিং জাদেজা ও যুবরাজসিং দদিয়া।
এর আগে সৌরাষ্ট্রের হয়ে প্রথম ইনিংসে ১০টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৮৫ বলে ৮৩ রান করেন হার্ভিক দেশাই। প্রেরক মানকড় ৩৫, অর্পিত বাসবদা ২৫ ও শেল্ডন জ্যাকসন ২২ রানের সংক্ষিপ্ত ইনিংস খেলেন। চেতেশ্বর পূজারা মাত্র ২ রান করে আউট হন। তামিলনাড়ুর সাই কিশোর ব্যাট হাতে হাফ-সেঞ্চুরি করার আগে বল হাতে ৬৬ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট দখল করেন। ৩টি উইকেট নেন অজিত রাম।