আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দলের অধিনায়কত্ব হারাতে পারেন পাকিস্তানের সংক্ষিপ্ততম ফর্ম্যাটের অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি। নিউজিল্যান্ড সফর এবং ২০২৪ পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) সময় হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পরে শাহিন শাহ আফ্রিদির নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে অধিনায়ক আফ্রিদিকে নিয়ে।
গত বিশ্বকাপের পর বাবর আজম সরে গিয়েছিলেন। তার পর টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। এই বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফরের আগে শাহিন আফ্রিদি টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হন। চার মাসের মধ্যেই মোহ ভেঙে গিয়েছে। যে কারণে তাঁর হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হতে পারে দায়িত্ব।
নিউজিল্যান্ডের কাছে শাহিনের নেতৃত্বে ৪-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। এখানেই শেষ নয়, আফ্রিদির নেতৃত্বে প্রথম দল হিসেবে লাহোর কালান্দার্স এবারের পিএসএলের গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গিয়েছে।
২০২৪ সালের লাহোর কালান্দার্স পিএসএলের ইতিহাসে তাদের সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স করেছে। তারা ১০টির মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে। শেষ দু'টি পিএসএল শিরোপা জিতলেও, কালান্দার্স এবার মাত্র ৩ পয়েন্ট এবং নেট রানরেট (NRR) -০.৫৫৪ নিয়ে পয়েন্ট টেবলের লাস্টবয় হিসেবে শেষ করেছে।
পাকিস্তানের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, নতুন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভিকে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন অনেকেই। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, শাহিন আফ্রিদিকে পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য খুব কম বয়সী এবং অনভিজ্ঞ বলে মনে হচ্ছে। বাবরকে আবার দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা হতে পারে বলে দাবি পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের। তিনি যদি রাজি না হন, তবে মহম্মদ রিজওয়ানকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: ফের ক্রিকেট খেলতে পারবেন, একটা সময়ে ভাবতে পারেননি পন্ত, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই ফিরতে চেয়েছিলেন মাঠে
প্রসঙ্গত, পিএসএলে রিজওয়ানের নেতৃত্বে মুলতান সুলতান পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে শেষ করেছে। ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট তাদের। আর বাবরের নেতৃত্বে পেশোয়ার জালমি দুইয়ে শেষ করেছে। তাদের আবার ১০ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট।
রিপোর্টে বলা হয়েছেন, ‘কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে, ২৩ বছর বয়সী শাহিন এই দায়িত্বের জন্য খুব কম বয়সী এবং আরও পরিপক্ক হতে হবে তাকে। অন্যদিকে, বোর্ডের কিছু সদস্য বিশ্বাস করেন যে, বিশ্বকাপের কাছাকাছি নেতৃত্ব পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বুদ্ধিমানের কাজ নাও হতে পারে। কারণ এটি দলের পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান নেবেন।’
নাকভি এখনও শাহিন বা অন্যান্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বৈঠক করেননি। পিএসএলের সমাপ্তির পরে এই নিয়ে সম্ভবত পিসিবি আলোচনা করবে। আগামী মাসে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার কথা পাকিস্তানের। স্বভাবতই অধিনায়কত্বের বিষয়ে সিদ্ধান্ত খুব দ্রুত নিতে হবে।