গ্রুপ লিগের ৩টি ম্যাচেই জয় তুলে নিয়ে চলতি যুব বিশ্বকাপের সুপার সিক্স রাউন্ডে প্রবেশ করে ভারত। এবার সুপার সিক্সের ২টি ম্যাচেও জয়ের ধারা বজায় রাখে অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দল। টানা ৫ ম্য়াচ জিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেন উদয় সাহারানরা।
সুপার সিক্স রাউন্ডের গত ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ভারত সেমিফাইনালের পথে এক পা বাড়িয়ে রেখেছিল। এবার নেপালকে হারানোর সঙ্গে সঙ্গেই শেষ চারের টিকিট পাকা হয়ে যায় ভারতীয় যুব দলের। উল্লেখ্য শুক্রবার সুুপার সিক্স রাউন্ডে নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারত প্রত্যাশা মতোই বড় ব্যবধানে জয় তুলে নেয়। দুর্বল নেপালকে তারা হারিয়ে দেয় ১৩২ রানে।
ব্লুমফেন্টনে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ভারত। যদিও ইনিংসের শুরুটা মোটেও মনে রাখার মতো হয়নি তাদের। ভারত দলগত ৬২ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের তিনজন ব্যাটারের উইকেট হারিয়ে বসে। আদর্শ সিং ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮ বলে ২১ রান করে মাঠ ছাড়েন। অপর ওপেনার অর্শিন কুলকার্নি ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩০ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে প্রিয়াংশু মোলিয়া ১৯ রান করে মাঠ ছাড়েন। তিনি ৩৬ বলের সতর্ক ইনিংসে ১টি চার মারেন।
ভারত শেষমেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২৯৭ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। সৌজন্যে সচিন ধাস ও ক্যাপ্টেন উদয় সাহারানের জোড়া শতরান। সচিন ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫০ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ১০টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৯৩ বলে শতরানের গণ্ডি টপকে যান। শেষমেশ ১১টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১০১ বলে ১১৬ রান করে মাঠ ছাড়েন সচিন।
উদয় ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬১ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ৯টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০৬ বলে শতরানের গণ্ডি টপকে যান। উদয় ১০৭ বলে ১০০ রান করে আউট হন। মুশির খান নট-আউট থাকেন ৯ রানে। নেপালের গুলশান ঝা ৩টি ও আকাশ চাঁদ ১টি উইকেট দখল করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে নেপাল ৫০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৫ রানে আটকে যায়। দেব খানাল ৩৩, অর্জুন কুমল ২৬ ও দীপক বোহারা ২২ রান করেন। আকাশ চাঁদ ১৮ ও দুর্গেশ গুপ্ত ২৯ রানে নট-আউট থাকেন। ভারতের সৌম্য পান্ডে ২৯ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন। ২টি উইকেট নেন অর্শিন কুলকার্নি। ১টি করে উইকেট পকেটে পোরেন রাজ লিম্বানি, আরাধ্য শুক্লা ও মুরুগান অভিষেক। ম্যাচের সেরা হন সচিন।