ফের একরাশ লজ্জায় ডুবল পাকিস্তান। তৃতীয় টেস্টেও হেরে বসে থাকল তারা। অজিদের কাছে টানা তিন টেস্ট হেরে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার যন্ত্রণা নিয়ে মাঠ ছাড়ল পাক ব্রিগেড। এদিকে ডেভিড ওয়ার্নারের বিদায়ী টেস্ট সিরিজ একেবারে রত্নখচিত হয়ে থাকল। তবে একটা আফসোস থেকে গেল তারকা অজি ওপেনারের।
ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টের শেষ ইনিংসে ব্যাট হাতে হাফসেঞ্চুরি করলেও, দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে না পারার আফসোসটা থেকেই গেল ওয়ার্নারের। সিডনি টেস্টের শেষ ইনিংসে সাজিদ খানের ডেলিভারিতে যখন ৭৫ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হন ওয়ার্নার, তখন জয় থেকে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ১১ রান দূরে। ওয়ার্নার মাঠ ছাড়ার সময়ে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এসসিজি) দর্শকেরা উঠে দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে বিদায় জানান নিজেদের ইতিহাসে অন্যতম সেরা এই ওপেনারকে। ওয়ার্নারও দুই হাত তুলে বিদায়ী শুভেচ্ছার জবাব দেন। এর পর স্টিভ স্মিথকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ৮ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন মার্নাস ল্যাবুশেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি ক্রিকেটাররা ভারতে এলে যেন আর অভিযোগ না করেন- পিচ নিয়ে কড়া দাওয়াই ইরফানের
৭ উইকেটে ৬৮ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল পাকিস্তান। শনিবার খুব বেশি দূর এগোতে পারেনি তারা। ১১৫ রানেই অলআউট হয় শান মাসুদের দল। আমের জামালকে নিয়ে কোনও মতে তৃতীয় দিন পার করেছিলেন পাকিস্তানের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মহম্মদ রিজওয়ান। এদিন সকালের সেশনে দু'জন যতটা সম্ভব লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন। ১৩.৪ ওভার ক্রিজে কাটিয়েছিল এই জুটি। ২৮ রান করা রিজওয়ানকে নাথান লিয়ন ৪০তম ওভারে তুলে নিলে, ভেঙে যায় তাঁদের ৪২ রানের জুটি। ১৮ রান করা জামাল পরের ওভারে প্যাট কামিন্সের শিকার হন। এর পর আর বেশিক্ষণ টেকেনি পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস। ১৬ রানে ৪ উইকেট নেন জোশ হেজেলউড। ৩৬ রানে ৩ উইকেট লিয়নের।
আরও পড়ুন: কী কাণ্ড! মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচ খেলতে বিহারের ২টি টিম হাজির, বাধল ধুন্ধুমার
জয়ের জন্য ১৩০ রানের লক্ষ্য পায় অস্ট্রেলিয়া। এই রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই উসমান খোয়াজার উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এর পর জয়ের লক্ষ্যে ১১৯ রানের জুটি গড়ে ভালো ভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন ওয়ার্নার–ল্যাবুশেন জুটি। কিন্তু ২৫তম ওভারে গিয়ে ওয়ার্নার আউট হওয়ার পর ভেঙে যায় তাঁদের জুটি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ৬২ রানে অপরাজিত ছিলেন ল্যাবুশেন।
পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে ৮২ রান করেছিলেন এই সিরিজে টেস্টে অভিষেক হওয়া পেসার আমের জামাল। ৮৮ রান করেছিলেন রিজওয়ান। ৫৩ করেছিলেন আগা সলমন। পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ৩১৩ রান করেছিল। প্যাট কামিন্স নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। এর পর অস্ট্রেলিয়ার ২৯৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। ৬০ রান করেন ল্যাবুশেন। ৫৪ রান করেন মিচেল মার্শ। ৪৭ করেন উসমান খোয়াজা। আমের জামাল একাই ৬ উইকেট তুলে নেন। তাঁর দাপটেই ১৪ রানের লিড পায় পাকিস্তান। তবে তারা সেটা কাজে লাগাতে পারেনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার জেরেই পাকিস্তানকে হেরে মাঠ ছাড়তে হয়। তবে পাকিস্তান হারলেও, আমের জামাল দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন।