৫ বারের বিশ্বকাপ জয়ী দল। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে একেবারেই ছন্দে নেই অস্ট্রেলিয়া দল। প্রথম ম্যাচে তারা হারে ভারতের বিরুদ্ধে। এবার দ্বিতীয় ম্যাচের হারের মুখ দেখতে হল প্যাট কামিন্সের দলকে। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই পারল না অজি দল। ১৩৪ রানের ব্যবধানে হারতে হল। সেই সঙ্গে লজ্জার নজির গড়ল তারা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রানে হারতে হয় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের। এর আগে ১৯৮৩ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে চেমসফোর্ডে অস্ট্রেলিয়াকে হারতে হয়ে ১১৮ রানে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটাই ছিল অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। এবার সেই লজ্জার রেকর্ড টপকে গেল প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন দল।
এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। প্রথমে বল করতে নেমে জঘন্য ফিল্ডিং করেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। ৬টি ক্যাচ ফেলেন তারা। তার মধ্য়ে কামিন্স, স্টার্ক এবং জাম্পাও রয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই এত ক্যাচ মিস করলে সেই ম্যাচ যে হাতের বাইরে চলে যাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ঠিক সেটাই হয়েছে। এদিন কুইন্টন ডি কক ১০৬ বলে ১০৯ রান করেন ৮টি বাউন্ডারি এবং ৫টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। এছাড়াও এইডেন মার্করাম ৫৬ রান করে যান। নির্ধারিত ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ৩১১ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা।
তবে এদিন যেভাবে প্রোটিয়ার ব্যাটাররা শুরু করেছিলেন, তাতে মনে হয়েছিল আরও বড় রান হতে পারে। কিন্তু ম্যাচের একেবারে শেষের দিকে পরপর বেশ কয়েকটি উইকেট হারাতে থাকে তারা। ঠিক সেই কারণে ৩১১ রানের বেশি আর তুলতে পারেনি। তবে এই ম্যাচে অজিদের ফিল্ডিং নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। যা আগামী ম্যাচগুলিতে ভাবাবে বলেই মনে করছে ক্রিকেট মহল।
৩১২ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নামলে পরপর উইকেট হারিয়ে থাকে অস্ট্রেলিয়া। লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে নিজেদের ভিত একেবারেই শক্ত করতে পারেনি প্যাট কামিন্সের দল। এই ম্যাচে শুধুমাত্র মার্নাস ল্যাবুশান ৭৪ বলে ৪৬ রান করেন মাত্র ৩টি বাউন্ডারির সৌজন্যে। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। মাত্র ১৭৭ রানে শেষ হয়ে যায় অজিদের ইনিংস। ১৩৪ রানে ম্যাচ জিতে নেয় প্রোটিয়া শিবির। এই ম্যাচ হারের সঙ্গে সঙ্গেই লজ্জার নজির গড়ে ফেলল প্যাট কামিন্সের দল।